নাশকতার প্রস্তুতিকালে চন্দনাইশে জামায়াত-শিবিরের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড দেওয়ানহাট সোনাই বটতল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক চারজনের বাড়ি কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায়। তাদের মধ্যে ২ জন গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও ২ জন হাশিমপুর মকবুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওয়ানহাট সোনাই বটতল এলাকায় জমায়েত হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে জমায়েত হওয়া জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
আটকরা হলো কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার লক্কর চর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড জহিরপাড়া এলাকার মৃত নুর আহাম্মদের পুত্র মো. শাহজাহান (২২)। তিনি চন্দনাইশের হাশিমপুর মকবুলিয়া মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষের ছাত্র। বরইতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খয়রাতির পাড়া এলাকার মৃত অহীদ উল্লাহর পুত্র মো. আইয়ুব (১৯)। তিনি হাশিমপুর মকবুলিয়া মাদ্রাসার আলীম ২য় বর্ষের ছাত্র। বদরখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড লম্বাখালী এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে মো. তাওহীদ ইসলাম প্রকাশ মিনহাজ (১৯)। তিনি গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র এবং বান্দরবান জেলার লামা থানার আজিজনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হিমছড়ি পাড়া এলাকার আবুল কালামের পুত্র আবিদুর রহমান সাইফুল (১৯)। সে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এর ২/৩ দিন আগেও উক্ত স্থান থেকে আরো ২ জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছিল।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম জানান, চার জামায়াত-শিবির কর্মী সোনাই বটতল এলাকায় বসে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের মধ্যে ৩ জন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা ও ১ জন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার বাসিন্দা।
তাদের মধ্যে ২ জন গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র ও ২ জন হাশিমপুর মকবুলিয়া মাদ্রসার ছত্র। তাদের নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) আদালতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের দেওয়ানহাট সোনাই বটতল এলাকায় গত ৮ নভেম্বর রাতেও মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ মহাসড়কে নেমে ৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে দ্রুত পালিয়ে যায়।