রাজনীতি হচ্ছে নীতির রাজা। রাজনীতিকে তাই ঠুনকো যুক্তিতে গ্রহণ করা যাবে না। আজকের কর্পোরেট পৃথিবীতে রাজনীতিকে অনেকেই ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করছেন। রাজনীতি মোটেই ফ্যাশন নয়, ইহা বিজ্ঞান। উপরন্তু বিজ্ঞানেরও রাজা হচ্ছে রাজনীতি বিজ্ঞান। বিকাশমান পৃথিবীতে রাজনীতি আজ কোন দেশীয় গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই। জ্ঞান বিজ্ঞান তথ্য প্রযুক্তি ও মৌলিক অধিকার নিয়ে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হচ্ছে টোটাল পলিটিক্স। তাই এখন ফ্যাশন হিসেবে যারা রাজনীতিকে নেবেন তাদের আয়ু খুব স্বল্প হবে এটা বলা যায়। সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে সনাতনী ধারণা নিয়ে অতীতমুখী রাজনীতি এখন মুঠেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন নেতৃত্ব নির্বাচনে তাই দূরদৃষ্টি দরকার। কারণ নেতাকে হতে হবে সিম্বল অব ইউনিটি। তার কাছে সকলের গমনাগমনের সুযোগ অবারিত থাকতে হবে। নেতার কাছ থেকে ভালো কিছু না পেলে মুখ থুবড়ে পড়বে রাজনীতি নিয়ে যত উচ্চাশা আছে সব। নেতৃত্ব যদি পরিবর্তনের সুফল না দিতে পারে তবে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন, ক্ষমতার দাপট, মনোনয়ন বাণিজ্য, স্ববিরোধী কর্মকাণ্ড, অপরাজনীতি ভর করবে। তখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তিলে তিলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে। পরিপক্ক নেতৃত্ব ছাড়া পরিপক্ক সিদ্ধান্ত দেয়া কঠিন। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে এবং অর্বাচিন নেতৃত্বের হাতে রাজনীতির স্টিয়ারিং তুলে দিলে নির্ঘাত দুর্ঘটনা ঘটবে। পরিমাণগত রাজনীতির ভয়াবহতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ১৯৭৫ সালে। জয়ডঙ্কা বাজিয়ে কতো না বর্ণচোরা বাকশালে শামিল হয়েছিল কিন্তু ১৫ আগস্টের বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পাইনি। অতীত থেকে তাই শিক্ষা নিতে হবে যে, দুধের মাছিদের ভড়ং দেখে আমরা যেন বিগলিত না হই। সত্যনিষ্ঠ রাজনীতির কঠিন পথকেই আমাদের গন্তব্য ভাবতে হবে। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে রাজনীতি আছে। আর রাজনীতিতে চলছে সত্য–মিথ্যার লড়াই। শুভচেতনা ও অশুভচেতনার মধ্যে এ লড়াই শাশ্বত। এই লড়াইয়ে যুগে যুগে জিতেছে মানবিক শক্তি। তাইতো আজো মানুষের অস্তিত্ব পৃথিবীতে আছে, অন্যথায় মানুষের অস্তিত্ব বিলীন হতো কবেই। তবে অমানবিক বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে বারংবার প্রগতির বিকাশমান ধারা ব্যাহত হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সংকট উত্তরণের জন্য দরকার অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মেধানির্ভর রাজনীতি। এই রাজনীতিই আমাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষা দেবে।
একজন চিকিৎসক যদি রোগীর ভুল চিকিৎসা করেন তাহলে রোগী নিশ্চিত মারা যাবে। একইভাবে একজন রাজনীতিবিদ যদি ভুল রাজনীতি করেন তাতে একটি জাতীর মৃত্যু ঘটে যেতে পারে। তাই রাজনীতিবিদদের যোগ্যতা হতে হয় সর্বাত্মক–বহুমুখী। ভুল সিদ্ধান্ত যাতে তার হাত থেকে বের না হয়। সর্বোপরি, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম বিবর্জিত রাজনীতি খুবই বিপদাত্মক। প্রকৃত রাজনীতিবিদকে হতে হয় পরিপক্কতা– দক্ষতার মিশেলে শক্তিমান। তাই বলা যায়, নাজিল হয়ে কেউ রাজনীতিবিদ হতে পারেন না। রাজনীতিবিদ হবেন অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ, ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আমাদের বাংলাদেশের বাস্তবতায় অনেকেই পরিস্থিতির সুযোগে রাতারাতি মন্ত্রী, এমপি হয়ে যান। আমজনতা তাদেরকে নেতার আসনে বসিয়ে মান্য করেন। এই গলদপূর্ণ কালচারের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন খেদ নেই। তবে সে সব ভূঁইফোড় নেতাদের অনেকেরই কিম্ভুত আচরণ দেখে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, একজন আদর্শ রাজনৈতিক কর্মী হওয়া শ্রমসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রাতারাতি কোন ফ্যাক্টরি থেকে নেতা উৎপাদিত হয় না। একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিদের নেতা হিসেবে তাঁর আবির্ভাব ঘটলেও পরবর্তীতে তিনি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। মানুষ হিসেবে তিনি দীর্ঘকায় ছিলেন, অন্তরের প্রসারতায়ও বিশাল ছিলেন। তিনি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে ধারণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে একজন নিখাদ রাজনৈতিক নেতার আদল পরিদৃষ্ট হয়। তিনি সর্বযুগের রাজনীতি মনস্ক প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় নেতা। বঙ্গবন্ধু এমন জহুরী ছিলেন, কর্মীদের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারতেন নেতৃত্ব কার দ্বারা সম্ভব। তাইতো বঙ্গবন্ধুর কর্মীরা আজো রাজনীতিতে পাংক্তেয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন গুণগত রাজনীতি কিভাবে আবেদনময় হয়ে ওঠে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে দীক্ষিত হয়েছি শৈশবে। সেই স্কুল জীবনে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। গ্রামীণ আবহ থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক কর্মী আমি। আমার সামনে আমি দেখেছি প্রবহমান নদীর মতো রাজনীতির গতিধারা আপন গতিতে চলছে। ইতিহাসের বিকাশমান ধারা এটি। সভ্যতাকে একধাপ থেকে অন্য ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতির কাজই হলো সভ্যতাকে সংহত করা।
আমি অন্তর জগতে এটিই উপলব্ধি করি যে, রাজনীতি স্বল্পকালীন নয় বরং দীর্ঘকালীন চর্চার বিষয়। জ্ঞান, শিক্ষা, সাধনা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যারা তারাই সত্যিকারের রাজনৈতিক কর্মী। লোভের হাতছানি, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে এক একটি রাজনৈতিক জীবন। দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা একজন রাজনৈতিক কর্মীকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর সাহস যোগায়। এধরনের গুণান্বিত রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু নেই। তারা কাজ করে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, নৈতিকবোধ ও মনুষ্যত্ববোধের বিকাশে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে লালন তথা সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য রাখলে একজন রাজনৈতিক কর্মী অনেক দূর এগিয়ে যায়। যে জাতির নেতা যত বেশি ঐশ্বর্যময় সে জাতি জ্ঞানে বিজ্ঞানে তত বেশি সমৃদ্ধ হয়। প্রতিহিংসা ও জিঘাংসাশ্রয়ী রাজনীতি– নিম্নমানের রাজনীতি, যা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ নিয়ে আসে। দেশপ্রেম, ঐক্য, সমতা, সমঝোতা, স্বাধীনতা একটি দেশকে গৌরবের অভিযাত্রার পথে নিয়ে যায়। রাজনীতিতে লেখাপড়া তথা একাডেমিক ডিসকাশন দরকার। জ্ঞানে বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হলেই একটি রাজনৈতিক দল সমৃদ্ধ হবে। এই নতুন শতাব্দীর সূচনায় নতুন চেতনা নিয়ে রাজনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলকে আধুনিক গণমুখী করা না গেলে দলের লক্ষ্য বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যায়। একজন মনীষীর একটি বাক্য স্মর্তব্য। তিনি বলেছেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ চিন্তা করে পরবর্তী ভোট নিয়ে, একজন রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করে পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে।’ এই বাণীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হবে। দায়িত্বজ্ঞানসমপন্ন একজন নেতাকে রাষ্ট্রনায়ক সুলভ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতে হবে। রাজনীতি যাতে সাময়িক প্রয়োজন মেটানোর হাতিয়ার না হয়। রাজনীতিকে ভবিষ্যত জাতি গঠনের হিরন্ময় হাতিয়ার বানাতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংকীর্ণ ধ্যান ধারণা পাপ কালিমার পথ পরিহার করে লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে আলোর দিগন্তে এগিয়ে যাবার পালাবদল আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিপথগামী রাজনীতি সভ্যতা বিকাশের অন্তরায়– একই সাথে তা আধুনিক ও উন্নত জীবনের প্রতিবন্ধক। তাই সৃজনশীল রাজনীতির কোন বিকল্প আমাদের সামনে নেই।
রাজনীতিতে পচন আছে, ক্ষরণ আছে। তবে অপার সম্ভাবনার হাতছানিও আছে। যদিও হতাশার সাথে দেখি, অর্থ বিত্ত পেশী শক্তির দৌরাত্ম রাজনীতিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মোহরের প্রলোভনে আদর্শ বিবর্জিত হয়ে পড়ছে রাজনীতিকরা। ফলে হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে নিজেরা। এমনকি নিজের দলের নেতাকর্মীরা হেনেস্তা করে ছাড়ছে নিজের দলের অপর কর্মীকে। এমনটিই যদি হয় তবে নিরাপত্তা কোথায়। একদিকে কুসংস্কার কুপমণ্ডকতার অশিষ্ট রাজনীতি অমানবিক বর্বরতা চালাচ্ছে, অন্যদিকে মানব সভ্যতার ক্রম বিকাশের জন্য পরিশীলিত রাজনীতি– দুটি বিপরীত শক্তি বেশ কুস্তাকুস্তি করছে। কিন্তু সময়ের দাবি হচ্ছে, সৃজনশীল রাজনীতির মাধ্যমে অন্ধকারের অপযাত্রা রুখে দেয়া। সহনশীলতা, সহিষ্ণুতা, বিনয়, ধৈর্য রাজনীতিতে অতি দরকার। অসহিষ্ণুতা অপপ্রচার ব্যভিচার ধ্বংসের পথ প্রসারিত করে তা কখনো সুফল বয়ে আনে না। বিভাজন নয়, ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিবাচক রাজনীতি দরকার। তাহলে স্বাধীনতার পথে গৌরবের অভিযাত্রায় শামিল হয়ে আদর্শমুখী জনমুখী কর্মমুখী যাত্রা শুরু করা সম্ভব।
যোগ্যতাহীন মানুষ তোষামোদীতে তুষ্ট হয়। তারা নিজেকে মহিমান্বিত করতে অন্যের চরিত্র হননে পিছপা হয় না। ইতিবাচক সমালোচনা রাজনীতিকে বিকশিত করে কিন্তু অন্ধকারের রাজনীতি কখনোই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। মনে রাখতে হবে, ‘Politics will makes politicians and conspiracies will make Mirzafar. যে দল করে সে দলের আদর্শের ধার ধারে না অনেকেই। একজন যথার্থ রাজনীতিবিদের সর্বজনীন ক্যারেকটার থাকতে হবে। প্রত্যেকে যাতে তার কাছে আসার সুযোগ পায়। বড় দলের মধ্যে কিছু কিছু সিদ্ধান্তে মতদ্বৈততা ও কোন কোন বিষয়ে লাইকিং–ডিসলাইকিং থাকতে পারে। কিন্তু নেতাকে হতে হবে উদার। কোনভাবে তিনি সীমাবদ্ধ হতে পারেন না। রাজনীতিতে ত্যাগী কর্মী এবং দলীয় নীতি আদর্শের প্রতি নিবেদিত কর্মীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। যা সত্যিই অশনি সংকেত। তবুও শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি বলেই আমি দৃঢ়ভাবে আশা পোষণ করি।
‘৭৫ সালে’ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাজিগররা এদেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে। ৩রা নভেম্বর জেলের অভ্যান্তরে চার জাতীয় নেতা হত্যা, ২০০১ সালে ৪দলীয় জোটের সীমাহীন বর্বরতা দেখেছি। ১/১১এর পর রাজনীতির দৈন্যদশা এবং সর্বোপরি ২১ আগস্টের বোমা হামলার পর রাজনীতি পরিমণ্ডলের সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ইতিহাসের কলংক অপনোদনের জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শান্তি অর্জনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। এই কারণেই জঙ্গিদের পরিকল্পিতভাবে আমাদের পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও আমাদের পবিত্র সংবিধানকে অপশক্তির হাত থেকে মুক্ত রাখতে হবে। জাতির সামনে ২০৪১ সালের যে ভিশন রয়েছে তা বাস্তবায়নে আমাদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। ৭২এর সংবিধানে দেশকে পুরোপুরি ফেরত নিতে হবে। শেখ হাসিনার প্রাণান্ত চেষ্টার এই অভিযাত্রায় তাঁর সুযোগ্য কর্মী হতে আমরা কতটুকু প্রস্তুত, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এক অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা তাঁর একহাত দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করছেন, অন্য হাতে উন্নয়নের পতাকা বহন করছেন। তাঁর পাশে দাঁড়ানো আমাদের পবিত্র কর্তব্য। ভিশন ২০৪১ এর জন্য উপযোগী দল গড়ে তোলার জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। প্রশিক্ষিত কর্মী গড়ে তোলা না হলে রাজনীতির মহান ব্রত দিশাহীন হয়ে যাবে। লোভের হাতছানি উপেক্ষা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর উপযুক্ত সত্যিকার রাজনৈতিক কর্মী দরকার। আসুন, আমরা সামিল হই শেখ হাসিনার শান্তি উন্নয়ন ও গৌরবের অভিযাত্রায়।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।