শিম চাষে সম্ভাবনা জাগাচ্ছে আনোয়ারা। শীতকালীন এই সবজির সমারোহ এখন উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, বাড়ির রাস্তা, পতিত মাঠ ও খালের পাড়ে। বাদ যায়নি বেড়িবাঁধ আর পটিয়া–আনোয়ারা–বাঁশখালী সড়কের দু’পাশও। কোথাও শিম গাছে এখনো ফুল, আর কোথাও পরিপক্ক হওয়ার পালা। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে কৃষকরা এবার শিম চাষে প্রচুর লাভবান হবেন। সপ্তাহ খানেক পর ক্ষেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রির প্রস্তুতি চাষিদের। কৃষকরা জানান, শিম চাষে খরচ কম। বড় জমির প্রয়োজন হয় না। স্বল্প খরচ আর পতিত জমিতে সহজে শিম চাষ করা যায় বলে কৃষকরা শিমচাষে ঝুঁকছেন বেশি। আবার বাজারে চাহিদার কারণে ভালো দাম পাওয়া যায়। মৌসুমের শেষ দিকে শিমের বিচি থেকেও ভালো আয় আসে। আনোয়ারায় উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বরি শস্যের চাহিদা মেটাতে ৩২০ হেক্টর অনাবাদি ও পতিত জমিতে বিষ মুক্ত শিম চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ারা আলম বলেন, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১৪০ হেক্টর জমিতে কার্তিকী, ৮৫ হেক্টর জমিতে আর্শ্বিনী, ৬৫ হেক্টর জমিতে পুটি এবং ৩০ হেক্টর জমিতে ইপসা জাতের শিমের চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে মোট ৩২০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৩০ টন হিসাবে প্রায় ১০ হাজার টন ফলন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছর শিমের ফলন ভাল হয়েছে।
সরেজমিন বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা–হাজিগাঁও এলাকায় কথা হয় কৃষক হাসানের সাথে। তিনি জানান, উপজেলার কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগীতায় পুকুর পাড়সহ পতিত জমিতে বিষ মুক্ত শিমের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শিমের পাপড়ির দেখা পেয়েছি। সপ্তাহ খানেক পর নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করতে পারবো। বেশ ভালো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা রমজান আলী জানান, আনোয়ারায় বিষ মুক্ত নানান প্রকারের সবজির পাশাপাশি বিষ মুক্ত শিম চাষে কৃষকেরা বেশি এগিয়ে এসেছে। এ বছর অনাবাদি ও পতিত সহ মোট ৩২০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে।