হাই কোর্টে যেতে বলল আপিল বিভাগ

জামায়াতের আদালত অবমাননা

| সোমবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

জামায়াতে ইসলামীর সভাসমাবেশ বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন গ্রহণ না করে রিটকারীকে হাই কোর্টে যেতে বলেছে আপিল বিভাগ। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন এবং দলটির মিছিলমিটিং বন্ধ চাওয়ার পাশাপাশি আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি গতকাল একসঙ্গে করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ। আদালত জামায়াতের আপিল খারিজ করায় হাই কোর্টের রায়ই বহাল রয়েছে। সেই সঙ্গে অবমাননার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে আপিল বিভাগ। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাই কোর্ট রায় দেয়। এরপর তারা আপিল বিভাগে যায়। এক দশক পর চলতি বছরের ১০ জুন দলটি ঢাকায় সভাসমাবেশ করে। আপিল বিভাগে নিবন্ধনের মামলা চলমান থাকায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন রিটকারী তরীকত ফেডারেশন নেতা রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন। ২৪ জুলাই তাদের পক্ষে এ আবেদন করেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। খবর বিডিনিউজের।

বিচারাধীন এ আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী যেন সভাসমাবেশ, মিছিলসহ কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে, সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয় ওই আবেদনে। আবেদনে বলা হয়, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায় এখনও বহাল রয়েছে। রায় বহাল থাকা অবস্থায় গত ১০ জুন দলটি ঢাকায় সভাসমাবেশ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর দলটির এ ধরনের কর্মসূচি পালন বেআইনি। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের লক্সঘন। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থি। অতএব কোনোভাবেই দলটি সভাসমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে না। সভাসমাবেশ করে নিবন্ধন দাবি করে জামায়াত নেতাদের বক্তব্য দেওয়া ‘আদালত অবমাননার শামিল’ বলেও দাবি করা হয় আবেদনে।

শুনানিকালে আবেদনকারীর আইনজীবী তানিয়া আমীরকে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ আদেশ (নিবন্ধন বাতিল) দিয়েছে হাই কোর্ট। আপনারা সেই কোর্টে যান। যে কোর্টের আদেশ অমান্য করেছে, সে কোর্টেই যেতে হবে।

আদালত থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকল না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না। যদি জামায়াত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে যাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্মসূচিতে অনুপস্থিত খাগড়াছড়িতে বিএনপির দুই নেতার পদ স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধপিকআপ-বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২ আরোহী নিহত