শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কাজে লাগাতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম আয়োজিত নন্দনকানন রাধামাধব মন্দির প্রাঙ্গণে গিরি গোবর্ধন পূজা, অন্নকূট মহোৎসব ও ইসকন প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রভুপাদের তিরোভাব তিথি মহোৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা। তাই যে কোনো মূল্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ অর্জন যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্য শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারন নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে এবং সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী। বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালী থানার ওসি ওবায়দুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহ–সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, চসিক কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। ইসকন নন্দনকানন মন্দিরের কোষাধ্যক্ষ সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, শ্রীল প্রভুপাদ ৭০ বছর বয়সে ১৯৬৫ সালে প্রথম আমেরিকা পদাপর্ণ করে বৈদিক সংস্কৃতি প্রাচাত্য দেশে প্রচার করেন। আমেরিকায় ১৯৬৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রভুপাদের তিরোভাব তিথি, গোবর্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসব সারাবিশ্বে সমাদৃত।