কার্পেটিং উঠে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন মরণফাঁদ!

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িচট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি বাঁক রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। মাটিরাঙা বন বিভাগ পেরিয়ে আইডিএফের অফিস সংলগ্ন ‘জিয়ানগর এলাকার বাঁকটি ভয়ংকর’ হয়ে উঠেছে। গত সোমবার দুপুর ১২টায় কাভার্ডভ্যানের সাথে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকটি সংস্কার না করায় প্রতিদিনই এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় বাঁকটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ সড়কের একপাশের (প্রস্থে প্রায় ৭ ফুট) কার্পেটিং উঠে গেছে। বেশির ভাগ যানবাহনের চালক সড়কের তুলনামূলক ভালো অংশ দিয়ে যাতায়াত করতে চায় ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ৬ মাস ভাঙা সড়কটি সংস্কার না করে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এই জায়গায় আমার দেখা ১৮ থেকে ২০টা দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তাটা খুব খারাপ। রাস্তার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তদারকি করার কেউ নাই। মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, সড়কটি সংস্কার না হওয়া দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আমার গাড়িকে একটি বাস চাপায় দিয়েছিল। রাস্তাটি যদি সংস্কার করে তাহলে দুর্ঘটনা কমে যাবে। মাটিরাঙা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী কামাল উদ্দিন বলেন, সড়কটি সংস্কার করার পর বৃষ্টিতে একপাশ চলে গেছে। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা হতেই আছে। আজকে সকালে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, দুপুরে একটা হয়েছে। সড়কটি যেন দ্রুত ঠিক করা হয়।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১২২ অর্থবছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স ও এস এম সালেদ আহামদ যৌথভাবে সড়কটির সংস্কার কাজ করে।

সড়কের বাঁকটিতে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, ঐ স্পটে গত বর্ষায় সারফেসিংয়ের পাথর উঠে যাওয়ায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠিকাদারের যেহেতু ডিফেক্ট লায়বেলিটি পিরিয়ড রয়েছে, ঠিকাদারকে সড়কের ঐ অংশটি সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। ঠিকাদার সড়কটির সংস্কার করে দিবে বলে আশস্ত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেড়েই চলেছে চালের দাম
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬