নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে বুধবার রাত থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। টেকনাফ–সেন্টমার্টিনে রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় আগেরদিন সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া প্রায় আড়াইশ পর্যটক টেকনাফে ফিরতে পারেনি। অন্যদিকে দুর্যোগের আশংকায় সাগরে মাছ ধরারত ট্রলারগুলো মাছ ধরা বন্ধ করে ঘাটে ফিরে এসেছে। ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ ভাগ ট্রলার ঘাটে ফিরেছে বলে জানায় জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা বর্তমানে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন, যাদের গতকাল বৃহস্পতিবার টেকনাফে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার রাতে আবহাওয়া দপ্তরের ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারির পর প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে টেকনাফ–সেন্টমার্টিনে রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে ওসব পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে বলে জানান সী–ক্রুজ অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।
তিনি জানান, বুধবার সকালে প্রায় আড়াইশ পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। বৃহস্পতিবার তাদের ফিরে আসার কথা ছিল। আজ শুক্রবারও এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন নৌ–রুটে যেকোনো ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়ার অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এলে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে বুধবার রাত থেকে টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হলেও বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে তা হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাতে পরিণত হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সাগর শান্ত ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট সৈকতে তেমন পর্যটকের ভীড় দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার সরকারী ছুটির দিনেও তেমন বুকিং নেই বলে জানান হোটেল মালিকরা।