বোয়ালখালীতে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে মামলার ৬ নম্বর আসামি সাইফুল আলম রাহাত (৩৩) গত তিন বছর ধরে আবুধাবীতে আছেন। গত ২০ মার্চ তিনি বাংলাদেশে আসলেও গত ১৬ জুন তিনি দেশ ছেড়ে আবুধাবী চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানে ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ করছেন।
এদিকে প্রবাসী রাহাতসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় আমুচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামি হলো আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হামিদুল হক মন্নান।
এছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলো মেহেদী হাসান সুজন, সজীব মেম্বার, আবুল বশর চৌধুরী, জোবাইর রায়হান, মতিউর রহমান রাসেল, মো. আজগর, মনজুর আলম, আজিম উদ্দীন টিটু, মুহিদুল আলম জিকু, সাদ্দাম মেম্বার, মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, আবুল হোসেন কাইছার প্রকাশ বোমা কাইছার, সাহাব উদ্দীন, জমির উদ্দীন, হারুনুর রশিদ মেম্বার, সাইফুদ্দীন প্রকাশ বাইট্টা সাইফু, মো. ফরিদুল ইসলাম লিটন, জিয়াউর রহমান প্রকাশ জিয়া, সাদেক আলী, নিজাম ফারুক, মো. শাহাজান, আহম্মদ হোসেন মেম্বার, আজগর হোসেন, ইউসুফ, আবদুর রহমান।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানুনগোপাড়া-পটিয়া সড়কে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ দেখানো হয়েছে দায়েরকৃত মামলায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি ছোট টিনে কৌটা সদৃশ বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ৮টি বিভিন্ন সাইজের কাঁচের টুকরো এবং ৬টি বিভিন্ন সাইজের গাছের লাঠি ও ৫টি ভাঙা ইটের টুকরো উদ্ধার করেছে বলে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার ২ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান সুজন বলেন, এসব গায়েবি মামলা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা কোন সন্ত্রাসী না যে এসব করব। আমরা আদর্শিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের আন্দোলন।
এ ব্যাপারে জানতে বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আছহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে তাঁর মুঠোফোন কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।