সীতাকুণ্ডে ফাতেমা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা এলাকা থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে একই এলাকার রবিউল হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে গৃহবধূ ফাতেমাকে ঘরে রেখে কাজে চলে যান তার স্বামী রবিউল। দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসার পর ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি। এসময় একাধিকবার স্ত্রী ফাতেমাকে ডাকার পরও কোন ধরনের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন।
পরে তাদের পরামর্শে পুলিশকে অবহিত করার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় সাত মাস আগে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকার আবুল বাশারের কন্যা ফাতেমাকে বিয়ে করেন রবিউল। সীতাকুণ্ড থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) খুরশিক আলম জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। গৃহবধূর স্বামীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের তথ্যনুসারে নিহত গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার কোন আলামত পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।