একজন অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটকে দারুণ শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তিনি ছিলেন পেসারদের কৃত্রিম বন্ধু। কিন্তু সেই ডোনাল্ডকে আর পাচ্ছে না বাংলাদেশের পেসাররা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির মেয়াদ এখনও আছে ১৮ দিন। তবে অ্যালান ডোনাল্ডকে এখনই বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ বলে দিতে হচ্ছে। কারণ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিসিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক আপাতত চুকেবুকে গেছে। তবে বিদায়বেলায় কোচের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে রাখলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের এই পেসার দাবিও জানালেন পরের বোলিং কোচও যেন ডোনাল্ডের মতোই ভালো হয়। গত দেড় বছরে বাংলাদেশের যে কোনো ম্যাচে একটি দৃশ্য ছিল নিয়মিত। বোলিং এর সময় বাউন্ডারি সীমানার বাইরে ঘুরঘুর করে বোলারদের নানারকম পরামর্শ দিতেন অ্যালান ডোনাল্ড। যা তার প্রতি ক্রিকেটারদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
আজ তিনি নেই বাংলাদেশ দলের সাথে। তবে বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও যোগাযোগ রেখে যাবেন পেসারদের সঙ্গে। ডোনাল্ড জানান, বাংলাদেশের পেসারদের সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে যাবে আগের মতোই। যে কোনো প্রয়োজন–পরামর্শে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কিংবদন্তিকে পাশে পাবেন তারা। ডোনাল্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতার কমতি নেই বাংলাদেশের পেসারদেরও। বোলিং কোচের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উষ্ণতা ও গভীরতার প্রমাণ ফুটে উঠেছে নানা সময়ই। বিদায় বেলায় তা আরও প্রকাশ্য হয়ে উঠল তাসকিনের কথায়। এই পেসার বলেন তিনি অসাধারণভাবে ‘টেক কেয়ার’ করতেন আমাদের ফাস্ট বোলিং গ্রুপকে। ভালো হোক বা খারাপ, তিনি সবসময় পাশে থাকতেন। উজ্জীবিত করতেন সবসময়।
ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সঙ্গে কাজ করে। তিনি চলে গেলেন। এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই ২–৪ বছর পরপর যাবে–আসবে। তার সামনের দিনগুলির জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরেকজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তার সঙ্গে ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল। পরে তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবারের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। বিসিবি তাকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে আপাতত চুক্তি নবায়ন করেননি তিনি। তাই বাংলাদেশের সাথে অধ্যায় শেষ করে বিশ্বকাপ শেষেই দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গেছেন অ্যালান ডোনাল্ড।