গত এক বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে সহ–অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগেই অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন তিনি। বিশ্বকাপে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি ম্যাচে। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচের অধিনায়ক শান্ত এখনও জয়ের দেখা পাননি। তবে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য তিনি তৈরি বলেই জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তো করছি অধিনায়কত্ব। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে তাহলে এটা ভালোভাবে করার জন্যই প্রস্তুত।’ এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে যান শান্ত। বছরখানেক ধরে দলের সেরা ব্যাটার হলেও টুর্নামেন্টে এসে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ৯ ম্যাচে করেছেন ২২২ রান। অধিনায়কত্বের দুটি ম্যাচেও হেরেছেন। তবে শান্তর বিশ্বাস, অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। শান্ত বলেন, ‘অধিনায়কত্বের ব্যাপার যেটা বললেন দুই ম্যাচেই জিততে পারিনি। কিন্তু অনেক কিছু শেখার ছিল, দুই বড় দলের বিরুদ্ধে চাপ ছিল। আমার মনে হয় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।‘ এবারের বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে কেবল দুই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিল বেশ বড় স্বপ্ন নিয়ে। পুরো আসরের মতো শেষটাও হয়েছে হতাশায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০৬ রান করেও হারতে হয়েছে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে। এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমরা জেতার জন্য শুরু করেছিলাম। প্রথম থেকে আমরা খেলোয়াড়রা সবাই ওই মানসিকতা নিয়ে শুরু করেছিলাম যে এই ম্যাচটা জিতবো। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম, ওখান থেকে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাটিংয়ে দুইটা রান আউট, বোলিংয়ে আমরা মিডল ওভারে ভালো বোলিং করিনি। দল হিসেবে আমরা পুরো ম্যাচটা কিছু কিছু গুরত্বপূর্ণ সময়ে ভালো করতে পারিনি।’