ডাস্টবিনের ময়লা থেকে খাবার সংগ্রহে জীবন বাঁচে পারভেজের!

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

বেঁচে থাকতে মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। শুধু মানুষ কেন? খাবার খেয়ে জীবন বাঁচে পৃথিবীর বাকী সব প্রাণীর। ঠিক তেমনিভাবে জীবন বাঁচাতে ডাস্টবিনের ময়লা থেকে খাদ্য কুড়িয়ে জীবিকার যোগান দিচ্ছে এ শিশুটি।

ছবিটি আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ হাজী পাড়া সংলগ্ন গাউছিয়া মোড়ের সুবিশাল ময়লার ভাগাড় থেকে তোলা। ১০ বছর বয়সী এই শিশুটির নাম পারভেজ। সে নগরীর মধ্যম হালিশরের আনন্দ বাজারে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে।

তবে ময়লা থেকে যে খাবারগুলো সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো খাওয়ার জন্য নয়। মূলত এসব পঁচা বাসি খাবার সংগ্রহ করা হয়ে থাকে ফিশ ফিড হিসাবে।

পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত ডাস্টবিন ভাত, পোলাও, মাছ-ডিম সংগ্রহ করে বস্তাজাত করি। পরে আমাদের মালিক এসে এসব বস্তাগুলো নিয়ে যায়। শুনেছি এগুলো তারা মাছের খাবার হিসেবে মাছকে খাওয়ায়। আমি দৈনিক মজুরিতে কাজ করি, প্রতিদিন তিনশ টাকার মত ইনকাম করতে পারি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর অন্যান্য ময়লার ভাগাড়গুলোরও একই চিত্র। সেখানেও এ জাতীয় প্রায় ২০-২৫ জন শ্রমিক প্রতিদিন দৈনিক মজুরিতে কাজ করে। ময়লা থেকে পঁচাবাসী খাবার সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে রাখে। পরে মালিকপক্ষ এসে সেগুলোকে অটোযোগে অন্যত্র নিয়ে যায়।

মাছের খাবারের দাম বাড়ায় ফিশফিডে এই খাবারগুলোই ব্যবহার করে থাকেন তারা। মোটামুটি একটি মাছের প্রজেক্টে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ বস্তা খাবার দিলে প্রতিদিনের ফিশফিড প্রয়োজন হয়না বলেও জানান শ্রমিকরা। শ্রমিকরা প্রতিদিন প্রতি ময়লার ভাগাড় থেকে প্রায় ৩০ বস্তা উচ্ছৃষ্ট সংগ্রহ করতে পারে বলেও জানা যায়।

তবে বেলাল হোসাইন নামক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শুনেছি ময়লা থেকে সংগ্রহ করা এসব খাবার নাকি তারা মাছকে খাওয়ায়। ফেলে দেওয়া এসব খাবারে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে মাছ এগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে আমদের জন্য ক্ষতি। এই প্রক্রিয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে আমার মনে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে হাউজবোটে আগুনে তিন বাংলাদেশীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধহেরে বিদায় পাকিস্তানের, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড