দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আধুনিক কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহর আইকনিক স্টেশনে প্রবেশ করেন।
এখানে তিনি প্রথমে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর পতাকা উড়িয়ে হুঁইসেল বাজিয়ে বহুল কাঙ্খিত দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন ও দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেল স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টিকেট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে ট্রেনে চড়ে রামু জংশন পর্যন্ত যাবেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১৬ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পরে টাউনশীপ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দিবেন তিনি।
চলতি বছরে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন সমুদ্র শহর কক্সবাজারে। উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের ঢালা নিয়ে বরণ করে নিয়েছেন কক্সবাজারবাসী। আজ সর্বত্র ধ্বনিত হচ্ছে ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সু—স্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী…ফুলেল শুভেচ্ছা উন্ননের স্বপ্নদ্রষ্টা’। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে চারদিকে সাজ সাজ রব। জনমনে বিরাজ করছে উৎসবের আবহ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কক্সবাজারবাসীর স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে। জননেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে শহরজুড়ে শোভা পাচ্ছে রঙ—বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড ও পোস্টার। নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় এক যুগ পরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আলোর মুখ দেখলো এই প্রকল্প। আজ উদ্বোধন হলেও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে রেল চলাচল।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।