আগাম মুলা চাষে লাভ কয়েক গুণ

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | শনিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

১০ হাজার টাকা খরচে ২০ শতক জমিতে হাইব্রিড মুলার চাষ করেছি। ফলনের ৩০ শতাংশ বিক্রি করেই খরচের দ্বিগুণ লাভ পেয়েছি। পুরোপুরি বিক্রি হলে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়ার আশা রয়েছে। আগামী মৌসুমে চাষ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।

কথাগুলো রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা বুড়ির দোকান বটতল এলাকার কৃষক জালাল উদ্দীন। শুধু তিনিই নন, এই কৃষি বিলে আরও অন্তত দশজন চাষি আগাম মুলার চাষ করেছেন এবং বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

রাঙ্গুনিয়ায় শীতের সবজি মুলা এবার আগেভাগে বাজারে চলে এসেছে। উপজেলার পোমরা, পদুয়া, পারুয়া, পৌরসভা, ইসলামপুর, রাজানগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আগাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় ২২৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যেই ১৭০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের মুলা চাষের ফলন এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কৃষি মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে মুলা তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে ক্ষেত থেকে তোলা মুলা ধুয়ে আঁটি বাঁধছেন বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এসময় চাষিরা জানান, প্রতি একর মুলা চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। আর বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি একর ক্ষেতের মুলা বিক্রি করে পাওয়া যায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

পোমরা বটতল এলাকার আরেক চাষি মোহাম্মদ জাফর জানান, তিনি ১৫ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষাবাদ করেছেন। বীজ রোপণের ৩৫৪০ দিনের মধ্যে বর্তমানে ফলন এসে বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। মুলার আবাদের মধ্যেই এখন বারোমাসি মরিচ রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। মুলা বিক্রি শেষ হলে এরপর থেকে তিনি বাজারে আগাম মরিচ তুলতে পারবেন বলে আশা করেন।

ইসলামপুর রৈস্যাবিলি এলাকার কৃষক সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তিনি ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করে এখন বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। ইসলামপুর পুলিশ ক্যাম্প এলাকার কৃষক আজগর হোসেন জানান, মুলার পাশাপাশি তিতকড়লা, লাউ, বরবটি আবাদ করে বাজারজাত করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই চাষাবাদের খরচ উঠে গেছে। খরচের কয়েকগুণ লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, মুলার পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ায় আগাম জাতের অনেক সবজি আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এবং মাঠে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। আগাম এসব সবজির ফলনও হয়েছে ভলো। ভালো দাম পেয়ে চাষিরা অনেক খুশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদারুল হুদা দরবারে ফাতেহা ইয়াজদাহুম মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধদেশকে ধ্বংস করতে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের আশ্রয় নিয়েছে