মুম্বাইয়ে গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংসের পর বিশ্বকাপের রাউন্ড–রবিন লিগের শেষ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলবেন বলে আশা করছেন অসি পেসার জশ হ্যাজলউড। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গোটা শরীরের ব্যাথা নিয়েই অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেটের আলোকিত ব্যক্তিরা যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ানডে ইনিংস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপ্রত্যাশিত ওই তিন উইকেটের জয় অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দিয়েছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। শেষ চারে দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবেলা করবে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে পুনেতে বাংলাদেশের ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পরিণত হয়েছে তাদের জন্য। তবে হ্যাজলউড মনে করেন ম্যাক্সওয়েল এখনো ওই ম্যাচে খেলার উপযুক্ত।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন আমি অন্তত তাই মনে করি। আমার মনে হয়না এখন এবং আগামী কয়েকদিন তার বেশী কিছু করার প্রয়োজন আছে। সুতরাং আশা করছি অচিরেই ঠিক হয়ে যাবেন ম্যাক্সওয়েল। মঙ্গলবার ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রান করা ম্যাক্সওয়েল ম্যাচ শেষে বলেন ১৪৭ রানে যখন তিনি ক্রিজে ছিলেন তখন জয়ের জন্য আরো ৫৫ রান বাকি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ঐ সময়টি ছিল বেশ কঠিন। ব্যাথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন ম্যাক্সওয়েল। দলীয় ফিজিওথেরাপিস্ট নিক জোনস ঐ সময় ম্যাক্সওয়েলকে ফিরে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে বলেন ক্রমেই তিনি নেতিয়ে পড়ছিলেন। মৃত মানুষের মতো মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। সেখানে গিয়ে আমি দেখলাম তার ডান পায়ের কাফের পেশীতে টান লাগছিল। পায়ের আঙ্গুল অসার হয়ে আসছিল। যে কারণে পাঁজর ও দুই পায়ের নীচের দিকে কোন শক্তি পাচ্ছিলেন না। ঐ সময় বাম হ্যামস্ট্রিংয়েও টান পড়ে। শুরু হয় পিঠের ব্যাথা।
আমরা তার সশ্রুসাকালে তিনি বলেছিলেন আমি এখানে শেষ করছি। আমি চালিয়ে যেতে পারব না। আমাকে অবসর নিতে হবে‘। তিনি তখন ধুকছিলেন। তবে আমি তাকে বলি, দেখুন সবার আগে আপনাকে উঠে দাঁড়াতে হবে। ম্যাক্সওয়েল উঠেছিলেন এবং মাঠ ছাড়ার পরিবর্তে কস্ট সহ্য করেই ইংনিংসটি শেষ করেছেন। জোনস বলেন ওই অস্থাতেই যেভাবে খেলেছেন তা একেবারেই আশ্চর্যজনক এবং আমি যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও ভালো করেছেন ম্যাক্সওয়েল। আমার মনে হয় তাকে সেখানে খেলতে দেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়েছে।