ধসে পড়া স্থানে নির্মিত হলো নতুন কালভার্ট

আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর উদ্যোগ ।। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সড়ক

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | শুক্রবার , ১০ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের আবদুল গণি সড়ক পথের একটি কালভার্ট ২০২১ সালে ধসে পড়েছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যায় আশপাশের নয়টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। পরে ওই স্থানে তৈরি করা হয় বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছিলেন স্থানীয়রা। এছাড়া আব্দুল গণি সড়কটিও বেহাল দশায় থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অন্ত ছিলো না।

স্থানীয়দের দুর্ভোগের এই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক আজাদীতে। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ধসে যাওয়া স্থানে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন বঙ কালভার্ট নির্মিত হয়। সমপ্রতি কালভার্টটি সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়া ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমানে আব্দুল গণি সড়কটি দৃষ্টিনন্দন ইউনি ব্লকের সাহায্যে উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার বলেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ভাঙারপাড়া নামক স্থানের কালভার্টটি ২০২১ সালের ৫ জুন ধসে পড়েছিলো। এরপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে এলাকার মানুষ চলাচল করলেও দুর্ভোগের অন্ত ছিলো না। এছাড়া এই সড়কটির বেহাল দশায় সড়ক সংলগ্ন ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দারা কষ্ট পাচ্ছিল। সমপ্রতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির জরুরি হস্তক্ষেপে নতুন বঙ কালভার্ট নির্মিত হয় এবং সড়কটিও ইউনি ব্লকের সাহায্যে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হতে চলেছে।

জানা যায়, আব্দুল গণি সড়কের ৩৭০ মিটার চেইনেজে এই বঙ কালভার্টটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে সড়কটিও এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ ফুট প্রসস্ত করে উন্নয়ন করা হচ্ছে। যেখানে আরও কালভার্ট করা হবে চারটি, ২২৩ মিটার ড্রেন এবং ১৫৪ মিটার গাইডওয়াল নির্মাণ করা হবে। ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, সড়ক বেহাল এবং কালভার্টটি ধসে পড়ার পর বিষয়টি দৈনিক আজাদীতে প্রথম প্রকাশিত হলে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এছাড়া বিষয়টি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ও অবগত হন। এরপর উনি ডিও লিটার প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই অনুযায়ী ৯ মিটার দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নতুন করে নির্মিত হয়। বর্তমানে আব্দুল গণি সড়কটিও রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারের মতো ইউনিব্লকের সাহায্যে দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণ হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে উৎপাদিত জুতা যাচ্ছে ইউরোপে
পরবর্তী নিবন্ধন্যূনতম ৫০ বছর মামলার নথিপত্র সংরক্ষণের উদ্যোগ