কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের পরদিনই কার রেসিংয়ের বহুল আলোচিত ঘটনায় অবশেষে পাঁচটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে আতংক সৃষ্টিকারী ওই ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন ওই ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন এবং পাঁচটি গাড়ি জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কোতোয়ালী থানাধীন আলকরন রোডের আনসারুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আশারাফুল হক (৩৫) ও বাকলিয়া তুলাতুলি এলাকার মরহুম হাজী সোলায়মান সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ এমরান উদ্দিন (২৪)। আজ শুক্রবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ জহির হোসেন জানান, টানেল উদ্বোধনের পরদিন কয়েকজন যুবক গাড়ি নিয়ে প্রচন্ড স্পিডে টানেল অতিক্রম করে। তারা গাড়িতে বিকট শব্দ তুলে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি টোল প্লাজার সামনে গাড়ি নিয়ে ড্রিফটিং করে। তাদের আচরণে জনমনে শংকা তৈরি হয়। তারা তাদের ওই আচরণকে হলিউডের ‘ফাস্ট এন্ড দ্য ফিউরিয়াস’ বলে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
হলিউডি ওই কারবারের ঘটনায় দৈনিক আজাদীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আজাদী ঘটনার ভিডিও প্রচার করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে হলিউডি কারবারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টানেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১ নভেম্বর টানেল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় রেসিং, ওভারটেকিং ও বিপজ্জনকভাবে চালানোসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।
কর্ণফুলী থানার ওসি জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে দোষীদের গ্রেপ্তার ও গাড়িগুলো জব্দ করার জন্য কাজ শুরু করে পুলিশ। গতকাল বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার হয়। এ সময় পাঁচটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। আরো দুইটি গাড়ি রয়েছে। ওই দুইটি গাড়িও জব্দ করা হবে।
তিনি বলেন, কার রেসিংয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।