চাম্বলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

পিটার হাসকে হুমকি

| শুক্রবার , ১০ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে নিয়ে ‘আক্রমণাত্মক’ মন্তব্য করায় বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা শেষে গণভবন গেইটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মুজিবুলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’, ‘অশোভন, আক্রমণাত্মক’ যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। খবর বিডিনিউজের। এজন্য চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চম্বল ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমরা দলীয়ভাবে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেব। এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করা মোটেও উচিত নয়। এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রী সবাইকে সতর্ক করে দিতে বলেছেন।’

পিটার হাসের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি কূটনীতিক হোক, আর যেই হোন, তার বিরুদ্ধে কোনো শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য হতে পারে না। সবার মর্যাদা আছে এবং এ ধরনের বক্তব্য থেকে ভবিষ্যতে আমাদের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুজিবুল হক চৌধুরী এর আগেও গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছিলেন। ২০২২ সালের জুনে চাম্বল ইউনিয়নে ভোটের আগে আগে তিনি গোপন কক্ষে কর্মী রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে বাটন চেপে নিজের পক্ষে ভোট নিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রকশ্যেই। তার বক্তব্যের ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সেটি আমলে নিয়ে সেই ইউনিয়নে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মুজিবুলের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আইনি লড়াই শেষে গত বছরের ১২ অক্টোবর ভোট হলে জয় পান মুজিবুলই।

যুক্তরাষ্ট্রের কড়া প্রতিক্রিয়া : বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশি এক সাংবাদিক। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বিষয়টিকে বিস্তৃত দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরব আমি। সেটি হচ্ছে, আমাদের কূটনীতিক ও কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এ ধরনের উগ্র বক্তব্য অতিশয় অসহযোগিতামূলক।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামী অর্থনীতির নতুন দিগন্ত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
পরবর্তী নিবন্ধসেমিতে এক পা নিউজিল্যান্ডের