আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ৪৫ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষিত হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৩৪ হাজার ৫৬০জন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৫ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরি করা হলেও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২৪৫জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ২০২২টি ভোট কেন্দ্রে এবং ১৩ হাজার ৭৪১টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। জেলা নির্বাচন অফিসের হিসেব অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতিটি বুথে ১ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতিটি বুথে ২ জন করে পোলিং অফিসার ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি বুথে একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বঙ লাগবে এবং প্রতি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বক্স থাকবে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক আজাদীকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি এক সাথে চলছে। যখন কমিশন থেকে যেটা চাওয়া হচ্ছে–আমরা সেই বিষয়টি একেবারে ফাইনাল করে ফেলছি। এরমধ্যে আমাদের সংসদীয় আসন অনুযায়ী ভোট কেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা চূড়ান্ত করে কমিশনে জমা দিয়েছি।
আগামী রবিবার প্রতিটি সংসদীয় আসনের কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত হবে। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি দেয়া হবে। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে আমরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি করবো। প্রতিটি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা–কর্মচারীর নামের তালিকা প্রেরনের জন্য চিটি ইস্যু করবো। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা মিলে ৪৫ হাজারের মতো লাগবে।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২৪৫জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা। নিয়ম অনুযায়ী মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার ৫ শতাংশ বাড়তি হিসেব করে প্যানেল তৈরী করা হয়। ৫% অতিরিক্ত হিসেবে ৪৫ হাজার ৪০৭জনের প্যানেল তৈরী করা হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ হাজার ৬৮৫জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা বেশি লাগবে।
উল্লেখ্য গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৯৯টি আর বুথের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৮৭টি। প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৩৪ হাজার ৫৬০জন। এবার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২০২২টি এবং বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৪১টি। সেই হিসেবে ভোট গ্রহনে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২৪৫ জন। কিন্তু ৫% অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রস্তুত রাখা হবে। সেই হিসেবে ৪৫ হাজার ৪০৭জনের প্যানেল তৈরী করা হবে।