চট্টগ্রামের দোহাজারী–কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলকে সামনে রেখে এই রেলপথের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে আজ। পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে আরও কমিয়ে ভাড়া চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কঙবাজার রুটের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়ার একটি প্রস্তাব রেল ভবনে পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৭৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে জানা গেছে, দোহাজারী–কঙবাজার নতুন রেলপথের ভাড়া অনুমোদন দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে আরও কমিয়ে ভাড়া চূড়ান্ত করতে বলা হয়।
প্রস্তাবে ট্রেনের (আন্তঃনগর শোভন চেয়ার) টিকিটের ভাড়া রাখা হয় ২২০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কঙবাজার পর্যন্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ৫৫ টাকা ও আন্তঃনগর ট্রেনের প্রথম শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩৩৪ টাকা। প্রথম শ্রেণির সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৭৪৮ টাকা।
নতুন ভাড়া নির্ধারিত হলে প্রতি আসনে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে ১০–২০ টাকা কমবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৪০–৪৫ ও সর্বোচ্চ ৭৩০–৩৫ টাকা নির্ধারিত হতে পারে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কঙবাজারের সর্বমোট ৫৫১ কিলোমিটার বাণিজ্যিক দূরত্ব ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন–এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ টাকা ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা।











