ইদানীং পৃথিবীর সব কিছুরই পরিবর্তন হতে চলেছে। ঋতু, মানুষের মন, স্বভাব, প্রকৃতি সবই যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। একে অপরের মধ্যে হৃদ্যতা অভাব দেখা দিয়েছে। মানুষের মনের অধঃপতন, কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না। একে অন্যকে সনু্তষ্ট করতে পারছে না। যার কারণে সকলে হতাশায় ভুগছে এমনও বলতে শুনেছি নিজের কলিজা ভুনা করে দিলেও বলে লবণ কম হয়েছে। মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা চলে গেছে। অতি আধুনিকতায় আমাদের আন্তরিকতার ফাটল ধরেছে। কাছে থেকেও ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। নাম যশ লোভ অর্থ প্রতিপত্তির পেছনে দৌড়াতে গিয়ে মায়া মমতা সম্পর্ক আত্মীয়তা সবই হারাতে চলেছি। সন্তানদের খোঁজ খবর নিতে সময় হচ্ছে না। ফলে সন্তানদের দৌড়াত্ব আস্ফালন আজ সীমা ছাড়িয়ে। ধর্মের প্রতি নেই কোনও অনুশীলন ভক্তি শ্রদ্ধা। মা বাবার প্রতি দায়িত্ব এবং বড় জনদের প্রতি কোনও ধরনের মান্যতা। কিছু সার্টিফিকেট ডিগ্রিধারী প্রজ্ঞা বা জ্ঞান নেই বললেই চলে। পারিবারিক সংস্কার থেকে ছেলে মেয়েরা সরে যাচ্ছে। যে শিক্ষা, যে প্রতিযোগিতা চলছে নিজের জন্য সমাজ বা দেশের জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি গল্প বই পড়া, কবিতা পড়া বা লেখা, সাহিত্য চর্চ্চা, শরীর র্চ্চা এবং খেলাধূলা করলে মানসিকতার পরিবর্তন আসবে। জ্ঞানের প্রসার ঘটবে। তখন কোনও প্রকার মন্দ কাজে মনোনিবেশ হবে না। সকল অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে সন্তানদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে হবে। উপযুক্ত সময়ে সন্তানদের সঠিক পথে ফেরাতে না পারলে সমাজ বা দেশ মারাত্মক ক্ষতিতে পড়বে। সকলের মাঝে কম বেশি একে অন্যকে সহযোগিতা করার মন মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। যারা সহযোগিতা চায় আশ্রয় চায় এরা নিতান্তই অপারগ হয়ে চায়, সেটা বুঝতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য, অর্থ বিত্ত নিতান্তই সাময়িক। অহংকার, দাম্ভিকতা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা কখনো উচিৎ নয়। জীবনটা নিতান্তই বৃষ্টির ফোটার ন্যায়। ‘শূন্য দিয়ে জীবন শুরু, শূন্য দিয়েই শেষ’। আমরা যত কিছুই করি না কেন মৃত্যুর কাছে আমরা বন্দি। ‘মৃত্যু দিয়ে মিলবে হিসেব, থাকবে না ভাগ শেষ’ এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে সকলের।