আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩১৫ জন শিক্ষার্থীকে গতকাল টানেল ও পতেঙ্গা সৈকতে ভ্রমণে নেওয়া হয়। এ সময় তাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও এতিম শিশুদেরও নিয়ে যাওয়া হয়। টানেল দেখার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আবেগ আপ্লুত শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন ১১টি বাসযোগে টানেল হয়ে পতেঙ্গা সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীদের। টানেল পার হয়ে শিক্ষার্থীরা সৈকতে পৌঁছে আনন্দে মেতে উঠে। এ সময় আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মোমিন, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ, উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়ার সহ–সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী, উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন, চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, এমএ কাইয়ুম শাহ, অসীম কুমার দেব, কলিম উদ্দিন, আজিজুল হক বাবুল, অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল হান্নান, আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক ইমন বলেন, দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি আনোয়ারাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তাই এটি দেখার জন্য আনোয়ারার শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে একটি রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩১৫ শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও এতিম শিশুদের নিয়ে টানেল ভ্রমণের আয়োজন করি। আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর বর্তমানে সপ্তাহ জুড়ে টানেল উৎসব চলছে। এই উৎসব ধরে রাখতে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, এতিম ও জনপ্রতিনিধিসহ টানেল বেড়ানোর আয়োজন করা হয়। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন।