মার্কেটে শীতের ‘গাইডের কাপড়’

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

বাংলা পঞ্জিকা মতে শীতের বাকি আছে দেড় মাসেরও কম সময়। তবে শীতকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শীতের পুরনো কাপড় আমদানি শুরু করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পুরনো কাপড়কে ব্যবসায়ীদের ভাষায় গাইডের কাপড় নামে পরিচিত। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এসব কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকে।

নগরীর গাইড কাপড়ের দোকান খাতুনগঞ্জ এবং জহুর হকার্স মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেক গাইডে একেক ধরনের শীতের কাপড় থাকে। মূলত কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ব্ল্যাজার এবং লং কোটই বেশি থাকে। বিদেশিরা একবার পরেই অনেক কাপড় ফেলে দেন। সেগুলো আমাদের দেশে আমদানি করা হয়। তবে নামে পুরনো কাপড় হলেও অনেক দেখতে নতুনের মতোই লাগে। আমদানি খরচ কম হওয়ায় ক্রেতারাও কম দামে সেইসব কিনতে পারেন। পাইকারি বাজার থেকে এসব পুরাতন কাপড় সংগ্রহ করে ভ্রাম্যমাণ হকাররা বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী জেলা এবং উপজেলা থেকেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এসব কাপড় কিনতে ছুটে আসেন।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, শীতের গাইড কাপড় বা পুরনো কাপড়ের ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় ব্যবসা খুব বেশি ভালো হয়নি। তবে শীতের কাপড়ের মৌসুমী ব্যবসা। সব সময় ঝুঁকি থাকে। পুরনো কাপড়ের ব্যবসায় এখন আগের মতো লাভ নেই। আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। সেই অনুযায়ী বিক্রি কম। কারণ এসব কাপড়ের ক্রেতাদের বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও নিম্নবিত্তশ্রেণীর মানুষজন। পুরনো কাপড় তাইওয়ান, কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করা হয়। খাতুনগঞ্জের গাইড ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন বলেন, পুরনো কাপড়ের আমদানি করতে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। কাপড় আমদানি করে সেগুলো আবার ভালো খারাপ বাছাই করতে হয়। কারণ সব কাপড় ভালো থাকে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধকানাডার টরেন্টোতে মুনিরীয়া যুব তবলীগের এশায়াত সম্মেলন অনুষ্ঠিত