দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে জিততে হলে বাংলাদেশকে ২৮০ রান করতে হবে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান করে শ্রীলংকা।
প্রথম ওভারেই ৫ বলে ৪ রান করা কুশল পেরেরাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তাতে অবশ্য বড় কৃতিত্ব মুশফিকুর রহিমের। পাখির মতো উড়ে বাঁদিকে দাঁড়ানো প্রথম স্লিপ ফিল্ডারের সামনে থেকে ক্যাচ নেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
১০ ওভারে লঙ্কান ব্যাটাররা তোলেন ৫২ রান। ১২তম ওভার করতে এসে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবার ৩০ বলে ১৯ রান করা কুশল মেন্ডিসকে ফেরান তিনি। তার বলে লং অনে দারুণ ক্যাচ নেন শরিফুল।
দলের অষ্টম ম্যাচে এসে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম হাসান সাকিবও পান উইকেটের দেখা। ৮ চারে ৩৬ বলে ৪১ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আশালাঙ্কা।
তাদের জুটিও ভাঙেন সাকিব। ৪২ বলে ৪১ রান করে সামারাবিক্রমা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দেন। এরপরই ঘটে বিরল এক ঘটনা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘টাইমড আউট’ হন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউজ। নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে পরের বল খেলতে হয়।
কিন্তু হেলমেটে সমস্যার কারণে সেটি করতে পারেননি ম্যাথিউজ। এমন সময়ে আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিয়ম অনুযায়ী কোনো বলের মুখোমুখি না হয়েই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এমন আউট হওয়ার পর মেনে নিতে পারেননি ম্যাথিউজ, ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে পরে আরও এক দারুণ জুটি গড়েন আশালাঙ্কা। ‘টাইপড আউট’ নাটকীয়তার চাপ সামলে তারা ব্যাট করতে থাকেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ৩৬ বলে ৩৪ রান করা ধনঞ্জয়া।
প্রথম দফায় বল তালুবন্দি করতে না পারলেও পরে স্টাম্প ভাঙতে পারেন মুশফিক। তাতে ভাঙে আশালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়ার ৮২ বলে ৭৮ রানের জুটি। আরেক প্রান্তে দলের রান এগিয়ে নিতে থাকেন আশালাঙ্কা। তিনি পান সেঞ্চুরির দেখাও। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে ১০৫ বলে ১০৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর আর কেবল এক রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ (নিসানকা ৪১, পেরেরা ৪, মেন্ডিস ১৯, সামারাউইক্রামা ৪১, আসালাঙ্কা ১০৮, ম্যাথিউস ০, ডি সিলভা ৩৪, থিকশানা ২২, চামিরা ৪, রাজিথা ০, মাদুশাঙ্কা ০*; শরিফুল ৯.৩-০-৫২-২, তাসকিন ১০-১-৩৯-০, তানজিম ১০-০-৮০-৩, সাকিব ১০-০-৫৭-২, মিরাজ ১০-০-৪৯-১)