লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নামজুল মোস্তফা অমিনসহ ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেলিয়া পাড়ার মৃত নজির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৭) এই মামলা দায়ের করেন। এতে ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এদিকে একই দিন উক্ত মামলার ৪ জনসহ বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার মাহাবুবুর রহমানের পুত্র রেজাউল করিম (৩২), বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী বেপারী পাড়ার মৃত আহমদ কবিরের পুত্র সাহাব উদ্দিন (৪০), পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পদুয়া ইয়াছিন পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের পুত্র মো. সাব্বির (২০), একই এলাকার আলী আহমদের পুত্র মো. বেলাল (২০) ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বোয়ালিয়াকুল এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম (৩৫)।
জানা যায়, গতকাল বুধবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী পাড়স্থ জঙ্গল পদুয়াগামী রাস্তার মুখে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে পথরোধ করে। এ সময় সাধারণ জখম ও ভয়ভীতি প্রদান এবং ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এসআই মো. গোলাম রাসেল পারভেজ জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, “বিএনপি’র ন্যায্য দাবির আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গায়েবী মামলা দায়ের করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। এই সরকার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।”