সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকে সারাদেশে তিনদিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
অবরোধের সমর্থনে ২য় দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রবেশপথ ও মহাসড়কে মিছিল সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, পুলিশের শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও দুপুরে নগরীর কদমতলী মোড়ে ও সকালে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড়ের বড়পুল এলাকা এবং চট্টেশ্বরী সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
তাছাড়া বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করা হয়। উত্তর জেলা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেইট সীতাকুণ্ড এলাকায় মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরও ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাছাড়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে তার ছোট ভাই ইকবাল বাহারের চাঁন্দগাও আবাসিকের বি-ব্লকের বাসায় মঙ্গলবার রাত ২টায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল ব্যাপক তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছে। এই সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।
অবরোধ চলাকালে মঙ্গলবার রাতে পাচঁলাইশ থানা বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক শাহিদুর রহমান বেলালকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তার শুলকবহরের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে।
তাছাড়া সদরঘাট থানা পুলিশ ৩০নং পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. জামশেদ, পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. সেলিম ও কৃষক দল নেতা শমসের আলীকে তাদের বাসা থেকে, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এসকান্দর ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. পারভেজকে চাঁন্দগাও থানা, হালিশহর থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন জুয়েল ও ছাত্রদল নেতা মো. সাকিবকে হালিশহর থানা, সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. জাহিদ হোসেনকে পাহাড়তলী থানা, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো. আলাউদ্দীন ও ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মুসলেহ উদ্দিনকে বন্দর থানা, পাহাড়তলী থানা পুলিশ দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কবির হোসেন সহ ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।