২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে দেশে সরকারিভাবে প্রথম ২০১৭ সালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হয়। বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা মহামারিতে রূপ নিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর এতে প্রায় সমান সংখ্যক মানুষ মারা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু থেকে মুক্তির উপায় কি? নিরাপদ সড়কের জন্য নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ আরো অনেক সংগঠন কাজ করছে। আমরা দেখেছি ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ দ্রুততার সাথে সংসদে পাস করে। আইনটি ২০১৮ সালে সংসদে পাস হওয়ার পরও এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সড়ক নিরাপদ হওয়ার সেই স্বপ্ন এখনো অন্ধকারেই থেকে গেলো। এটা সত্য যে, যেসব পরিবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারায় তারাই জানে স্বজন হারানোর বেদনা কত নির্মম কতটা কঠিন। দুর্ঘটনার কারণে কত পরিবার নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে পড়ে তার খবর কে রাখে। কোনো মতেই যেন শৃঙ্খলা ফিরছে না সড়ক মহাসড়কে। এত আন্দোলন, এত মৃত্যুর পরও পথচারী যেমন সচেতন নয়, তেমনি বেপরোয়া গাড়ির চালকরা। সড়ক দুর্ঘটনায় কি শুধু একটি পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নাকি দেশ ও অর্থনীতিরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহল যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে ততই মঙ্গল হবে। প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
এম. এ. গফুর
বলুয়ার দিঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।