আফগানদের কাছে এবার ধরাশায়ী শ্রীলংকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের কাছে হেরে যাত্রা শুরু করলেও আফগানিস্তানের জয় এখন অন্য মাত্রা পাচ্ছে। এবারের বিশ্বকাপে যে তিনটি জয় তারা পেয়েছে তার প্রত্যেকটিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে। প্রথমে তাদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এরপর সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। গতকাল সোমবার পুনে স্টেডিয়ামে সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাও ধরাশায়ী হলো তাদের হাতে। লংকানদের ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাটা আরও জাগিয়ে তুলল আফগানরা। গত আসরে একটিও জয় না পাওয়া দলটি এবার ৬ ম্যাচেই তুলে নিল তৃতীয় জয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪১ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। জবাবে ২৮ বল হাতে রেখেই লংকা বধ করে ফেলে আফগানরা। যদিও ইনিংসের প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারিয়ে ধাক্কা খেতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রান তাড়া করার কাজটি সহজভাবে ও বেশ দায়িত্ব নিয়েই সম্পন্ন করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। শূন্য রানে ফেরা গুরবাজকে হারানোর পর ঘাবড়ে যায়নি আফগানরা। দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ইব্রাহিম ৩৯ রানে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন রহমত। অধিনায়ক শাহিদিকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন তিনি। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টেকেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৭৪ বলে ৭ চারে ৬২ রান করে কসুন রাজিথার শিকার হন তিনি। রহমত ফেরার পর জয় থেকে তখনো অনেকটা পথ দূরে ছিল আফগানিস্তান। কিন্তু তা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন শাহিদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১১১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন তারা। শাহিদি ৭৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আরেক প্রান্তে অপরাজিত থাকা আজমতউল্লাহ ৬৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৭৩ রান। লংকানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটো উইকেট নেন দিলশান মাদুশঙ্কা।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলংকার। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। এরপর আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস মিলে ইনিংস মেরামত করেন। তারা যোগ করেন ৬২ রান। নিসাঙ্কা ৪৬ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর শ্রীলংকার ইনিংস কখনোই স্থির হতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বোলিংয়ের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন লঙ্কান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছে মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। আর সাদিরা সামারাভিক্রামা ৩৬ এবং শেষদিকে মাহিশ থিকশানা করেছেন ২৯ রান। এছাড়া বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (২৩) এবং চারিথ আসালাঙ্কা (২২)। বল হাতে আফগানিস্তানের ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রান খরচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং রশিদ খান। ম্যাচ সেরা হন আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকী। আফগানিস্তান শেষ চার ম্যাচের তিনটি জিতলো এবং ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে গেছে তারা। তাদের বাকি খেলা আছে নেদারল্যান্ডস,অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে রাতের অন্ধকারে কাটা হচ্ছে পাহাড়
পরবর্তী নিবন্ধসংঘর্ষ-সহিংসতায় মামলা ৩৬, আসামি দেড় হাজারের বেশি