মীরসরাইয়ে রাতের অন্ধকারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। উপজেলার করেরহাট এলাকার ঝিলতলি ও করেরহাট রামগড় রোডের বিভিন্ন এলাকায় এসব পাহাড় কাটছে মাটিখেকোরা। পাহাড়ের মাটি চুরি করে বিক্রি করছে এসব চক্র। কেউ বাড়ি ঘর নির্মাণ বা বসতি স্থাপনের নামেও পাহাড় কেটে একাকার করে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, রাত বাড়লেই ঝিলতলি এলাকায় বালু নিয়ে যাওয়ার গাড়ির আনাগোনা দেখা যায়। রাতে গাড়ি চলার শব্দ শুনলেও দিনের বেলা কোনো চিহ্ন থাকে না। থাকে শুধু রাতে চলা গাড়িগুলোর চাকার চিহ্ন। মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে মাধ্যমে ঝিলতলি এলাকায় প্রায় দুই বছর যাবৎ পাহাড় কাটা বন্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একশ্রেণীর মাটিখেকো সিন্ডিকেট রাতের অন্ধকারে করেরহাট রামগড় সড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড় কেটে মাটি চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বারৈয়ারহাট–রামগড় সড়ক উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারদের কাছেই গোপনে বিক্রি করছে এসব বালু। অনুমোদিত বা বৈধ প্রক্রিয়ায় বালু সংগ্রহ না করে চোরাই সিন্ডিকেট থেকে এভাবে বালু কেনা হচ্ছে। চোরাই মাটি বা বালু দিলে মহাসড়কের সাথে রামগড় স্থলবন্দরের সংযোগ সড়কের মতো আন্তর্জাতিক সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
রাতের অন্ধকারে পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, রাতের বেলা অভিযান এখন পরিচালিত হচ্ছে না। এই বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অশোক বিলকনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার কোনো পাহাড়ি এলাকার বালু নিচ্ছি না। আমরা শুভপুর এলাকা থেকে নদীর বালু নিচ্ছি।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের (সওজ) উক্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন বলেন, আমরা এখনো বালি দেয়াই শুরু করি নাই তবুও কোথা থেকে বালি আসছে বা আসবে সে বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মীরসরাইয় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড় কাটা অবশ্যই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।