নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বেলা ১২টা ২ মিনিটে টানেলের টোলপ্লাজায় গিয়ে থামে। চালকের পাশের আসনে বসা প্রধানমন্ত্রী নিজেই টোল তুলে দেন টোল কালেক্টর ঝুমুরের হাতে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ওই কর্মীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বলভাবে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। টোল পরিশোধের পর স্লিপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেটি আবার নিরাপত্তা কর্মীদের দেখান। টোল কালেক্টর ঝুমুর আক্তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানালেন, স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে টোল নিয়েছি। উচ্ছ্বসিত ঝুমুর আক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি, টানেলের সঙ্গে আমার নিজেরও একটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টানেলের প্রথম টোল প্রদানকারী এবং তার কাছ থেকে টোল নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ এক নতুন অধ্যায়, গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করেছে বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পশ্চিম তীরে (পতেঙ্গা) ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আনোয়ারা প্রান্তে আরেকটি ফলক উন্মোচন করতে টানেল পাড়ি দেন তিনি। টোল দেওয়ার পর আনোয়ারায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পার হতে ৪ হাজার ২০০ টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা। বাকি টাকা বহরের ২০টি গাড়ির জন্য। প্রধানমন্ত্রীর বহরে ২১টি গাড়ি ছিল। এ তথ্য জানিয়েছেন টানেল প্রকল্পের উপ–প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।