ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিপদ কেটে যাওয়ার পর সমুদ্র বন্দরগুলোতে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে; স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম।
আজ বুধবার সকাল থেকে বন্দরের জেটিতে ভিড়তে শুরু করেছে জাহাজ। শুরু হয়েছে পণ্য ওঠানামার কাজও।
এদিকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, “সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে নৌযান সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। কারণ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “বন্দরের কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক। সিগন্যাল নামিয়ে ফেলার পর জাহাজগুলো জেটিতে ফিরতে শুরু করেছে। সকালে বেশিরভাগ জাহাজ ফিরেছে। আর বাকি ৮টি জাহাজ বিকেলে বর্হিনোঙর থেকে ফিরবে।”
ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অফিস। এরপর চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট-৩ জারি করা হয়।
ওই পরিস্থিতিতে দুপুরে জরুরি সভা করে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয় কর্তৃপক্ষ। জেটিতে থাকা ২২টি জাহাজকে বহির্নোঙ্গরে চলে যেতে বলা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। মূলত কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় ওই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র।
এ ঝড়ে কক্সবাজারে দুজন এবং চট্টগ্রামে দুইজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিপুল সংখ্যক কাঁচা ঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রেস্ত হয়েছে।