দুই দিন আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সে সুখ স্মৃতি নিয়ে আজ আবার একই মাঠে নামছে প্রোটিয়ারা। এবারে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের মত দলকে যেখানে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সেখানে বাংলাদেশ দল কি আর করবে। কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটার এডিন মার্করাম তেমনটি ভাবতে রাজি নন। তার মতে এটি বিশ্বকাপ। এখানে কেউই বড় কিংবা ছোট প্রতিপক্ষ নয়। এখানে সবাই সবাইকে হারাতে পারে। আমরা যেমন নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গেছি। তবে এটা ঠিক আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আমাদের ছন্দটা ধরে রাখতে চাই। দলের সবাই যেভাবে ভূমিকা পালন করছে সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এই উপমহাদেশের উইকেটে আমাদের জন্য খেলাটা এক সময় কঠিন ছিল। এখন অবশ্য সে অবস্থা নেই। বিশেষ করে ভারতে আইপিএলের কারণে আমাদের দলের অনেকেই এখানকার পরিবেশ এবং উইকেটের সাথে বেশ ভালভাবেই পরিচিত। তাই এখন আর কোন কন্ডিশনই আমাদের বাধা হতে পারে না। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশ বেশ ভালো দল। তারা আগেও আমাদের হারিয়েছে। তাদের সাকিব আল হাসান বিশ্ব সেরা ক্রিকেটার। কাজেই বাংলাদেশ কেন কোন প্রতিপক্ষকেই ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই এই বিশ্বকাপে। ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দক্ষিন আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা খেলতে পারেননি। তবে এই ম্যাচে তিনি খেলবেন। একই সাথে আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর হেনরিক ক্লাসেন খানিকটা ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তিনিও দুই দিনের বিশ্রামে সেরে উঠেছেন। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা সেরা শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামবে সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মার্করাম। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকা যে কিছুটা হলেও চাপে ছিল সেটা স্বীকার করলেন মার্করাম। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে সে চাপটা একেবারে সরিয়ে যেন আরব সাগরে ফেলে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। তাই একেবারে স্বস্তি নিয়ে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এডিন মার্করাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন আমরা এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার। আর সেটা মনে হয় আমরা পারছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা হেরেছি। আর ক্রিকেটে যেকোনো দল হারতেই পারে। নিজেদের দিনে যেকোনো দল অপর যেকোনো দলকে হারাতে পারে। তাই ক্রিকেটে আমরা অবশ্যই জিতব তেমন লক্ষ্য নিয়ে এগুতে চাইনা। আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে এগুতে চাই তা হচ্ছে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলা। আমরা আমাদের খেলাটা খেলতে চাই। প্রতিপক্ষ যারা থাকবে তারা তাদেরটা খেলবে। সেখানে আমরা চেষ্টা করব তাদের হারিয়ে দিতে। বাংলদেশের বিপক্ষে আমরা আমাদের সেরাটা খেলে জয় তুলে নিতে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া।