বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কেবল রোগমুক্ত থাকাটাই স্বাস্থ্য নয়, বরং শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই স্বাস্থ্য।
মানুষের শরীরে যেমন মাঝেমধ্যেই নানান রকম রোগব্যাধি বাসা বাঁধে, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের মনেও বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে। শরীরের অসুখে যেমন চিকিৎসা দরকার, তেমনিভাবে মনের অসুখ সারানোর জন্যও চিকিৎসা বা যত্নের প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোতে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি কর্মক্ষেত্রেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও চরম সত্য আমাদের দেশে শারীরিক অসুস্থতাকে যতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, মানসিক অসুস্থতা ততটা গুরুত্ব পায় না। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাসই করেন না যে, মানসিক রোগ বলে কিছু আছে।
শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দিতে হবে। মনকে বাদ দিয়ে শরীর নয়। এ বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। প্রয়োজনে ক্যাম্পেইন, ওয়েবিনার, আলোচনা সভা, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যথায়, সমাজে অপমৃত্যু, হতাশা, অপরাধপ্রবণতার হার ক্রমেই বাড়তে থাকবে।
মো. আশরাফুল ইসলাম
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।