আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভোট ও তফসিলের সময় জানিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হবে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তার আগে আর নির্বাচন হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। সংবিধান অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোটের বাধ্যবাধকতা আছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের পক্ষ থেকে নানা সময় জানুয়ারির প্রথম ভাগে ভোট এবং নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা বলেছে। তবে তফসিল প্রথম নাকি দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। খবর বিডিনিউজের।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে ভোটে না আসার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, সংবিধান বহাল রেখেই নির্বাচন হবে। পছন্দ না হলে কারো জন্য আটকে থাকবে না। আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দিবে। মিস করলে পিছিয়ে পড়বেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অবরোধ আর দখলের হুমকি দিয়ে বিএনপির সে খায়েশ পূরণ হবে না। জ্বালাও, পোড়াওয়ের হুমকি আসছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একজনই আছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সড়ক সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন পরিবর্তনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন পরিবর্তন করার কি সময় আছে? অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারি পর্যন্ত। জানুয়ারিতে যারাই নির্বাচনে জিতে আসেন, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন বিবেচনা করতে পারবে। এসব বিষয় আপাতত মূলতবি রাখতে হবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, আমি পারফেক্ট মানুষ–এ দাবি করব না। ভুলত্রুটি হতে পারে। ভালো করতে চেষ্টা করেছি, দুর্নীতি কমাতে চেষ্টা করেছি। টেন্ডার বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য বন্ধ করতে পেরেছি।
‘আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে গতকাল পালিত হয় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৩। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এতে অংশ নিয়ে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ না হওয়া ও সড়কে নিরাপত্তায় আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।