একজন মুজিব, একটি ইতিহাস, অসামান্য নেতৃত্বের বলিষ্ঠ পথিকৃৎ– বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঢাকার ৩২ নম্বরে পথ বেয়ে গঙ্গা পদ্মা যমুনার স্রোতসিনী ধারার একাত্ম হয়ে বঙ্গোপসাগরে বহমান প্রিয় মুজিব। আমার ছেলের আজমাঈন সাদমানের উৎসাহে পরিবারসহ গত ১৪ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখি মুজিবকে নিয়ে নির্মিত ছবি ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’। তরুণ মুজিব, ভাষা আন্দোলনের মুজিব, অসহায় জনপথের খেটে খাওয়া জনতার মুজিবকে খুঁজে পায় এক বিরল ধারায়। ইতিহাসের পদে পদে তাঁর অবদান বিমুগ্ধ হয়ে দেখেছি। কষ্টের সন্নিহিত দিকগুলির আলোকপাতে অঝোরে কেঁদেছি। আবেগ প্রশমিত করার সম্ভব হয়নি বলে দুচোখে ঝরেছে অবারিত অশ্রু। কেঁদেছে পাশে বসা দর্শক। সিনিয়র সিটিজেন যেন বহুদিন পর তাঁদের প্রিয় নেতা মুজিবকে ফিরে পেলো। সত্যকে উপলব্ধিতে ভাষা, স্বাধীনতা ও পতাকা অর্জনে এক মুজিবের অকুতোভয় ভূমিকা যুগ যুগ বাঙালি স্মরণ করবে নিশ্চিত। যা বাঙালির জন্য প্রেরণা ও উৎসাহ ধারক হয়ে ইতিহাসের পুনর্জাগরণের স্মারক হয়ে পদ দেখাবে। এই ছবিটি দেখে জানা যাবে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য। তাই বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে ছবিটি দেখে বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের ইতিহাস জানতে সানন্দে এক মুজিব জাতির রূপকার ছবিটি দেখার সদয় আহ্বান করছি। জেনে নিন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার সাহসী ওদিক নির্দেশানামূলক ভূমিকা। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা ওরাসেল সহ নয়মাসের দুঃসহ বন্দী জীবন। পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয়, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন সহ মুজিবের সহ যোদ্ধাদের। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু মুজিব সহ পুরো পরিবারকে হত্যার খল নায়কদের চিহ্নিত করে রাখুন। ঘৃণিত এই কালো পুরুষদের উপযুক্ত শাস্তির রূপরেখার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করুন। ছোট্ট রাসেলকে হত্যার লোমহর্ষক দিক আজো নয়নকে জলতরঙ্গে কুর্নিশ করে। ছবিতে বিমূর্ত মুজিবের বজ্রধ্বনি ভুলি কেমনে! রেনুর অসাধারণ কীর্তি বাঙালি নারীদের পথ দেখাবে। দেশ মাটির শ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়ে কানে ধ্বনিত্ব হয়, মুজিবর, মুজিবর। জয় হোক বাঙালির।