কালজয়ী শ্রমিক নেতা চৌধুরী হারুন

তপন দত্ত | বৃহস্পতিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ষাটের দশকের কালজয়ী একজন শ্রমিক নেতা চৌধুরী হারুনর রশিদ। তিনি চট্টগ্রামের সন্তান। নিছক একজন সংস্কারবাদী শ্রমিক নেতা নন তিনি। আজকাল অনেক নেতাকে দেখি যারা মনে করেন ট্রেড ইউনিয়ন মানে নিছক একটি অর্থনীতিবাদী আন্দোলন, শ্রমিকদের দুচার বছরে কিছু মজুরী বৃদ্ধি করাই ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের লক্ষ্য। চৌধুরী হারুন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করতে গিয়ে নিছক অর্থনীতিবাদী সংস্কারমূলক কাজে আবদ্ধ থাকেননি। বরং উৎপাদনের মূল কারিগরদের সমাজ পরিবর্তনের দর্শন, প্রগতিশীল পরিবর্তনে সামিল করে বিপ্লবী ধারার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে টেনে আনতে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন।

চৌধুরী হারুন পটিয়া থানার মনসা গ্রামে ক্ষয়িষ্ণু একটি সামন্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২৬ সালে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলনের সুতিকাগার পটিয়া। কৈশোরে লেখাপড়ার জন্য রেল কর্মচারী বড় ভাই আশু মিয়া চৌধুরীর পাহাড়তলীর বাসায় এসে চট্টগ্রাম শহরে ভর্তি হন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন, তখন থেকেই মুসলিম লীগে যোগ দেন। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল অংশ রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকীর অনুসারী ছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাম্প্রাদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল অংশের প্রতি তাঁর কোনও আগ্রহ ছিল না। প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশের পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজে তাঁর সখ্যতা গড়ে ওঠে তৎকালীন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সংশ্লিষ্ট ছাত্র ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দের সাথে। তাঁর মধ্যে ভাষা আন্দোলন খ্যাত মাহবুবুল হক সহ এক ঝাঁক ছাত্র ফেডারেশনের নেতা তাঁদের সংস্পর্শে এসে তিনি প্রগতিশীল রাজনীতি সাহিত্য ইত্যাদিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন।

বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উত্থানের মোড় ঘোরানো ঘটনা ভাষা আন্দোলনের প্রথম কাতারের নেতা হিসেবে চট্টগ্রামের সামনে চলে আসেন। সেই উত্তাল দিনগুলোতে মিছিল মিটিং জনসভায় তাঁর সক্রিয় অংশ গ্রহণ বক্তব্য প্রদান চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। তাঁর বক্তব্য ছিল অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী, তথ্যবহুল ও যুক্তিদ্বারা শানিত। ১৯৫২’র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভাষা সংগ্রাম পরিষদ আহুত লালদিঘি মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে তাঁর সহজাত জলদ গম্ভীর কণ্ঠে পাকিস্তানি বর্বর অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষুরধার বক্তব্য প্রদান ও কবিতা পাঠ করেন। জনগণ উদ্বেলীত প্রতিবাদী হয়ে উঠে পাকিস্তানি বর্বরদের বিরুদ্ধে। সেই রাতেই চৌধুরী হারুন সহ প্রগতিশীল অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ চার বছর কারাবাসের পর ১৯৫৬ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেলে কারাবন্দী কমিউনিস্ট নেতাদের সাথে তাঁর সখ্যতা গভীর হয়। তাঁদের কাছে প্রগতীশীল রাজনৈতি ও মার্ক্সবাদ তথা শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণে শ্রমিক শ্রেণির ভূমিকা সম্পর্কে সবিশেষ অবগত হন। জেল থেকে বের হয়ে চৌধুরী হারুন অন্য আদর্শে রূপান্তরিত হন। কলে কারখানায় সরকারি কর্মচারী, রেল, ব্যাংক, প্রতিষ্ঠানে তাঁর উদ্যোগে একদল নেতাকর্মী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে থাকেন। তিনি তাদের প্রধান নেতা। অল্প বয়সেই তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের একজন কিংবদন্তী বাম রাজনীতির আদর্শে শ্রমিক নেতায় সুখ্যাতি লাভ করেন। কিন্তু দুই বছরের বেশি মুক্ত হাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে। পার্টির নির্দেশে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ ১২ বছর আত্মগোপনে থেকে ছাত্র শ্রমিকদের সংগঠিত করেন। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে আইয়ুবী সামরিক শাসনের পতন হলে তিনি আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় চৌধুরী হারুন ন্যাপ, সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নকে সংগঠিত করেন এবং আওয়ামীলীগ সহ অপরাপর গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন রচনায় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাধারে প্রকাশ্য রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা দূরদর্শীতার কারণে তিনি জাতীয় নেতাতে পরিণত হন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পালন করেন এক গৌরব জনক ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি ৩৭ নজির আহম্মদ চৌধুরী রোডস্থ ন্যাপ অফিসে ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃস্থানীয়দের এক সভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জনগণের মেজাজ পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকদের জিঞ্জির থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র বিশ্লেষণ করে বলেন ‘বাঙ্গালী জাতি ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের দিকে আগাচ্ছে এবং ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন প্রগতীশীল রাজনৈতিক কর্মীদের এই সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। এই সশস্ত্র যুদ্ধ বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবে। এই যুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বসহ পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।’ এই সিদ্ধান্ত ছিল নিষিদ্ধ গোপন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির। তাঁর সাথে আরো ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমএলএ কমরেড বরুন রায়। তাঁর এই তেজোদ্দীপ্ত বক্তব্য চট্টগ্রামের ছাত্র, যুবক, প্রগতিশীল কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা সৃষ্টি করেযা পরবর্তীতে চট্টগ্রামে নেতাকর্মীদের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ, অস্ত্র সংগ্রহ, গ্রাম শহর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ, ট্রেনিং গ্রহণের জন্য উদ্দীপ্ত করে।

মে মাসের প্রথম দিকে তিনি অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে আগরতলায় পৌঁছান। চট্টগ্রাম শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে তিনি আমি ও আবু তাহের মাসুদ, ফজলে এলাহী দুলাল অদৃত চক্রবর্তী সহ আমরা চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে কাপ্তাই রোড হয়ে রাঙ্গুনীয় কলেজের দিকে রওনা হই। পথে সেদিনেই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের পাকিস্তানিদের এয়ার রেড হয়। আমাদের গাড়ি ঠিক তখনই বেতার কেন্দ্রের পাশ দিয়ে এগুচ্ছিল। আমরা দ্রুত তাঁর নির্দেশে গাড়ি থেকে নেমে ধান ক্ষেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ি। আমাদের গাড়ি চালাচ্ছিল ন্যাপ নেতা সাইফুদ্দীন খানের ভাইপো মোক্তার আহম্মেদ খান। আমাদের কারো অস্ত্র যুদ্ধ সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও চৌধুরী হারুন এবং মোক্তার এর কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা দুইজনেই বলছিলেন বিমান থেকে কি ধরণের গুলি, বোমা দিয়ে আক্রমণ হচ্ছিল। মোক্তার আগে থেকেই অস্ত্র চালাতে অভিজ্ঞ। সে আমাদের কাছে থাকা ৩০৩ রাইফেল থেকে কয়েকটি যুদ্ধ বিমান লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পরে হারুন ভাই তাকে ধমক দিয়ে গুলি করা বন্ধ করতে বলেন। আমরা টার্গেট হয়ে যেতে পারি ভয়ে। রাঙ্গুনিয়া কলেজ হোস্টেলে পৌঁছে আমাদের কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সহযোগিতায় রাঙ্গুনিয়া কলেজে ট্রেনিং সেন্টার করে ট্রেনিং শুরু করি। রাঙ্গুনিয়া দক্ষিণ রাউজান ছিল ছাত্র ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন গণ সংগঠনের শক্তিশালী অবস্থান। চৌধুরী হারুন পরবর্তী পরিকল্পনা, পরামর্শ দিয়ে ভিন্ন কোথাও চলে গেলেন এবং পরবর্তীতে আমাদের চট্টগ্রামে সংগৃহিত অস্ত্রযা ডাক্তার শফি ও বেগম মোস্তারী শফির বাড়িতে রক্ষিত ছিল। তার একটা বড় অংশ রাউজানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। যা পরে কর্ণফূলী, হালদা দিয়ে নৌকায় করে কমরেড পূর্ণেন্দু কানুনগো রাউজান নিয়ে আসেন। ডাক্তার শফির বাসায় রক্ষিত অস্ত্র সমূহ পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে ধরা পড়ে যায়। পাক বাহিনী অস্ত্র সহ ডাক্তার শফি তাঁর শ্যালক এহসাকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁরা আর ফিরে আসেননি। আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে তারা দুজন চট্টগ্রামের প্রথম দিকের শহীদ।

আমরা আরও পরে ভিন্ন পথে মিরশ্বরাই ফেনী হয়ে আগরতলায় ক্রাফ্‌ট হোস্টেলে পৌঁছালে সেখানে চৌধুরী হারুনের সাক্ষাৎ পায়। পরে আমরা ৩য় ব্যাজে আসাম তেজপুর বিমান ঘাঁটি ট্রেনিং ক্যাম্পে নীত হয়। হারুন ভাই মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করা, ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, আগরতলায় ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদি কাজে তৎপর ছিলেন। তিনি ছিলেন ন্যাপ সিপিবির ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর যুগ্ম কমান্ডার। অন্যজন ছিলেন কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ।

স্বাধীনতার পর চৌধুরী হারুন শ্রমিক আন্দোলন সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন নতুন প্রতিষ্ঠিত শ্রেণি সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশী বিদেশী ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ও হাজার হাজার শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ১৯৭২ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এই সংগঠনের ১ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চৌধুরী হারুন সভাপতি নির্বাচিত হন।

এই জাতীয় রাজনৈতিক নেতা পরবর্তীতে ন্যাপের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৫ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে। তাঁর এই নমিনেশন পাওয়া নিয়ে আওয়ামীলীগ সহ জোটের কোনও দলের কোনও ধরণের আপত্তি ছিল না। সকল দল স্ব স্ব উদ্যোগে অথবা যৌথভাবে তাঁর নির্বাচনের প্রচার চালান। সর্বোপরি তিনি ছিলেন জনগণের নিকট একজন নন্দিত প্রার্থী। কয়েক বছর শয্যাশায়ী থেকে তিনি ২০০০ সনের ১৯ই অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চৌধুরী হারুন, আহসানুল্লাহ চৌধুরীরা সারা জীবন চেষ্টা করেছেন শ্রমিক আন্দোলকে নিজস্ব শ্রেণি চেতনায় উজ্জিবীত করে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাকারী ও সমাজ পরিবর্তনের লড়ায়ে শানিত করে দেশে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নিতে। আমরাও ৫০/৫২ বছর ধরে সে চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ট্রেড ইউনিয়নকে এ পথে সংগঠিত করতে। কিন্তু বিদ্যমান শ্রমিক আন্দোলন সংগঠনের অবস্থা থেকে উপলব্ধি হলোঅন্তত আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন আন্দোলন এখন দেশী বিদেশী করর্পোরেট পুঁজি আর লুটেরা পুঁজির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে এবং এদের স্বার্থ রক্ষাকারী রাজনীতির আজ্ঞাবহে পরিণত। তবে আমরা আশা ছাড়িনি।

বাংলাদেশে এখন সরকারি হিসাবে শিল্প প্রাতিষ্ঠানিকঅপ্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খাতসহ কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি। তারা জীবন ধারণ মান অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরী থেকে বঞ্চিত। ট্রেড ইউনিয়ন করার গণতান্ত্রিক অধিকার কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদিতে অধিকার হারা।

নিশ্চয় এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্যাঙের ছাতার মত ফেডারেশনের জন্ম হবে না। এখন বহু ফেডারেশন এনজিও নির্ভর। কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থরক্ষাকারী এনজিওগুলো এখন অনেক ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রাণাধীন। বহু নামধারী শ্রমিক নেতা ট্রেড ইউনিয়নকে বিনা পুঁজির ব্যবসা হিসাবে নিয়েছে। আশা আছে সত্যিকার দুর্নীতিমুক্ত শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষাকারী গণতান্ত্রিক ধারার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন সংগঠন এদেশে গড়ে উঠবে। বিপুল সংখ্যক বঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের চেষ্টায় চৌধুরী হারুনদের আদর্শে বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন আবার বিজয় পতাকা উড়াবে।

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিউ মার্কেট এলাকাকে হকারমুক্ত রাখতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকাল আজকাল