সাড়ে ২৫ টন আপেল ও ১২ টন রাসায়নিকের নিলাম কাল

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ at ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪৯ টাকার সাড়ে ২৫ টন আপেল আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া একইদিন ১২ টন প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশন নামের রাসায়নিক পদার্থও নিলামে তোলা হচ্ছে। এসব রাসায়নিক সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৫ টাকা। এসব রাসায়নিকের মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিলামে অংশগ্রহণ বাড়াতে নিলামের একদিন আগে অর্থাৎ আজ বুধবার চতুর্দিকে দুই কিলোমিটার মাইকিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় তা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর প্রায় ২৮ টন হিমায়িত মহিষের মাংস প্রকাশ্য নিলামে তুলে কাস্টমস। এসব মাংস নষ্ট হয়ে গেছেএমন অভিযোগ এনে অনেক বিডার নিলামে অংশ নেননি। পরে রাজশাহীর শাহ মখদুম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৪ লাখ টাকা বিড করে সর্বোচ্চ দরদাতা হন। অথচ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব মাংসের সংরক্ষিত দাম ধরে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের পচনশীল পণ্যের নিলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপকমিশনার মো. আবদুল হান্নান বলেন, বন্দর ইয়ার্ড খালি করার জন্য আমরা এখন থেকে পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামের উদ্যোগ নিয়েছি। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। মোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলামা খালে গোসলে নেমে নিখোঁজ ২ শিশু, একজনের লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধ‘হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আমি নজিবুল বশর এমপি হয়ে লাভ নাই’