সেন্টমার্টিনে অবৈধ সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

অনুমতি ছাড়া ঘাটে নির্মাণ সামগ্রী খালাস বন্ধ কক্সবাজার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

নির্দেশ না মেনে সেন্টমার্টিনে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। নানা কৌশলে নির্মিত হচ্ছে এসব স্থাপনা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থাপনা নির্মাণে নির্মাণসামগ্রী নেয়া হচ্ছে অবৈধ ঘাট ব্যবহার করে। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবৈধ সব স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার। গতকাল রোববার কক্সবাজার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এই সিদ্ধান্ত দেন। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।

জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে ১৯২টি স্থাপনা রয়েছে। তার মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোই অবৈধ। চলতি মৌসুমে আরও ১০/১২টি স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনও বৈধ অনুমতি ছাড়াই সেন্টমার্টিনে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটে নির্মাণ সামগ্রী খালাস করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বৈধ অনুমতি থাকলেই কেবল নির্মাণ সামগ্রী ঘাটে খালাস করার নির্দেশ দেন জেলা পরিষদকে। সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের অগোচরে বর্তমানে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তিনি তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’ এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, ‘প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে স্থাপনা নির্মাণে কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে কিছু কুচক্রী মহলের সহায়তায় সেখানে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যা থামাতে বদ্ধপরিকর উপজেলা প্রশাসন।’

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ইসিএ এলাকা হওয়ায় ইটকংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ সেন্টমার্টিনে। তা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে সেন্টমার্টিনে অনুমোদনবিহীন স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছিলো একাধিক চক্র। সমপ্রতি আবারও অনুমোদনবিহীন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে সেখানে। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ সব স্থাপনা গুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৃষ্টিনন্দন শহরের জন্য ১২ প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধবগুড়ায় দুর্ঘটনায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান