বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত। আর কয়দিন পরই নদীর তলদেশের টানেল পেরিয়ে ছয় লেইনের সংযোগ সড়ক হয়ে চলবে দ্রুতগতির যান। কিন্তু অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পায়নি অনেকে। অবশেষে ক্ষতিপূরণের ২৭ কোটি টাকা নিয়ে সুখবর এসেছে। ১৭ অক্টোবর একনেকের বৈঠকে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের চলতি বছরের মধ্যেই মিলবে বরাদ্দ।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অবশেষে জানিয়েছে চূড়ান্ত খবর। আগামী ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠকে উঠছে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রস্তাব (আরডিপিপি)। বৈঠকে অনুমোদনের পর ছাড় করা হবে ক্ষতিপূরণের ২৭ কোটি টাকা। এর আগে ছাড় হওয়া ৮৭ কোটি টাকাসহ মোট ১১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে। বার বার পেছানোর পর ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সুরাহা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। ২৮ অক্টোবর টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ছয় লেইনের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের পরিচালক সুমন সিংহ আজাদীকে জানান, ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কোন জটিলতা নেই। একনেকের বৈঠকের পর বরাদ্দ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৪ শত ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের জানুযারিতে বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করনের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। মূল সড়ক সমপ্রসারণ করতে নতুন করে ৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। শুরু থেকে টানেল সংযোগ সড়কের বিরামহীন কাজ চললেও বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণে সময়ক্ষেপনের কারনে প্রকল্পের কাজের গতি কমে আসে। ক্ষতিপূরণের অর্থ ছাড় নিয়ে জঠিলতায় অধিগ্রহনকৃত ছয় লেন সডকের কালাবির দিঘি মোড়, চাতরি চৌমহনী, ডাকপাড়া, বড় উঠানসহ বিভিন্ন অংশে সড়কের কাজে হাত দেওয়া যায়নি। আগামী ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধনের পর সড়কে গাড়ীর চাপ, যানজট কমাতে চাতরি চৌমহনী বাজারের উত্তর পাশে, বড় উঠান, দৌলতপুর কেইপিজেড় গেইট, ঝুমুর ক্লাব সংলগ্ন সংযোগ সড়ক মোড়, ফকিরনীর হাট ও কর্ণফুলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সামনে সহ মোট ৬ টি ইউটার্নের কাজ চলছে।
চাতরি চৌমহনী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, অধিগ্রহণের কারণে গত এক বছর ধরে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার আশায় আছি। টাকা পেলে নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারবো।
জানা যায়, সংশোধিত (আরডিপিপি) অনুমোদনের পর এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষতি পূরনের ২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণের ৮৭ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ১১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল যেহেতু চার লেন হিসেবে বর্তমানে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবি দিঘীর মোড় পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। ছয় লেন সগকের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার আশা রয়েছে।