জুম্‌’আর খুতবা

কুরআন ও হাদীসের আলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র বৈশিষ্ট্য সমূহ

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

(পর্ব৩য়)

হাদীস শরীফের আলোকে মহানবীর অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ: ১২০. দেহ মুবারক: হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ র দেহ মোবারক উজ্জ্বল গৌর বর্ণের ছিল মনে হতো যেন তাঁর দেহ মুবারক গলিত রুপা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। (শামায়েলে তিরমিযী, পৃ: )

১২১. দেহ মুবারকের সুগন্ধি: হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র দেহ মুবারকের চেয়ে অধিক সুগন্ধি অন্য কোনো সুগন্ধিতে পাইনি। (বুখারী, খন্ড: ১ম, পৃ: ৫০৩)

১২২. চাদর মুবারক: নবীজি ইয়ামেনে নির্মিত সুতির চাদর অধিক পছন্দ করতেন যা আরবে “বুরদে ইয়ামানী” নামে পরিচিত, নবীজি কখনো কখনো সবুজ রংয়ের চাদরও পরিধান করতেন। (আবু দউদ, ২য় খন্ড, ২০৭)

১২৩. নালাইন শরীফ (জুতা মুবারক) নবীজির ব্যবহৃত জুতা মুবারকের তলার দিক চামড়া নির্মিত এবং উপরিভাগে দুটি ফিতা ছিল জুতা মুবারকে দুটি চামড়ার পট্টা লাগানো থাকতো। (শামায়েলে তিরমিযী, পৃ:)

১২৪. নবীজির কাপড়ের রং : সাদা রংয়ের কাপড় রাসূলুল্লাহর অধিক প্রিয় রং ছিল। লাল রংয়ের কাপড় তিনি অপছন্দ করতেন তবে মহিলাদের জন্য লাল কাপড় পরিধানে বাধা নেই। লাল কাপড় পরিধানকারী এক ব্যক্তি নবীজিকে সালাম দিলে তিনি সালামের উত্তর দেননি। (আবু দাউদ, খন্ড: ২য়, পৃ: ২০৭)

১২৫. ছায়াবিহীন নবীর কায়া: মানুষের দেহের ছায়া আছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত ইবনুল জওযী (.) হযরত আবুদল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র দেহের ছায়া ছিলনা। (যুরকানী, খন্ড: ৫ম, পৃ: ২৪৯)

১২৬. নবীজির দেহ মুবারক ও কাপড়ে কখনো মশামাছি বসেনি। বিশ্বখ্যাত তাফসীরকার ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী (.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহর দেহ মুবারক ও কাপড়ে কখনো মশা মাছি বসেনি। এমনকি কোন মশা কখনো নবীজিকে কামড়ায়নি। (যুরকানী, খন্ড: ৫ম, পৃ: ২৪৯)

১২৭. চুল মুবারকে তেল ব্যবহার: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়শ চুল মুবারকে তেল দিতেন কখনো চিরুনী দিয়ে চুল মুবারক আচড়াতেন। তাঁর মাথার চুল মুবারক শেষ বয়স পর্যন্ত কালো ছিল। চুল ও দাঁড়ি মুবারকের মধ্যে বিশটির অধিক সাদা ছিলনা। (শামায়েলে তিরমিযী, পৃ: )

১২৮: চুল মুবারক বন্টন করে নেন: নবীজি বিদায় হজ্বের সময় চুল মুবারক মুন্ডন করেন, সাহাবায়ে কেরাম নবীজির ভক্তি ও আদব সহকারে চুল মুবারক গুলো তাবাররুক হিসেবে নিজেদের মধ্যে বন্টন করে স্বস্ব গৃহে সংরক্ষণ করতেন, উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা চুল মুবারক একটি শিশিতে সংরক্ষণ করেছিলেন যদি কেউ অসুস্থ হতো তিনি শিশিটি পানিতে ডুবিয়ে দিতেন সেই পানি পান করে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থতা লাভ করতো। (বুখারী শরীফ, ২য় খন্ড, পৃ: ৮৭৫)

১২৯. থুতু মুবারক নিক্ষেপে কুপের পানি মিষ্টি হয়ে গেল। নবীজির সাহাবী হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ঘরে একটি কুপ ছিল নবীজি সেই কুপে থুতু নিক্ষেপ করলে কুপের পানি এতো বেশি মিষ্টি হয়েছিল যা অন্য কুপের মধ্যে ছিলনা। (যুরকানী, খন্ড:, পৃ: ২৪৬)

১৩০. থুতু লাগিয়ে দিলে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়: হযরত আবু কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু (রা.)’র চেহারায় যুদ্ধ ময়দানে তীর দ্বারা আক্রান্ত হলে নবীজি তাঁর জখমের স্থানে থুতু মুবারক লাগিয়ে দেওয়া মাত্র রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাঁর জীবদ্দশায় কোনো যুদ্ধে কোন তীর তলোওয়ারের আঘাতে তিনি আক্রান্ত হন নি। (সীরাতুল মুস্তফা, পৃ: ৪১৯)

১৩১. নবীজি টুপি পরিধান করতেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা, সবুজ এবং কালো ইত্যাদি রংয়ের পাগড়ী পরিধান করতেন পাগড়ীর নীচে তিনি অবশ্যই টুপি পরিধান করতেন। (আবু দাউদ, খন্ড: , পৃ: ২০৯)

১৩২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র মুবারক নামসমূহ: আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এতো সর্বোচ্চ সম্মান মার্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দ্বারা ধন্য করেছেন। তাঁকে রাহমাতুল্লীল আলামীন করেছেন তাঁকে শফীউল মুজনেবীন, পাপী তাপী গুনাহগার বান্দাদের জন্য শাফায়াতের কান্ডারী করেছেন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন আল্লাহর প্রেরিত রসূলগণের সরদার করেছেন। ইমামুল আম্বিয়া মিরাজ রজনীতে নবীদের নামাযের ইমামতির মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। নবীজিকে বহুমাত্রিক অসাধারণ গুণাবলীর অধিকারী করে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন।

১৩৩. হযরত জুবায়ের বিন মুতঈম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার পাঁচটি নাম রয়েছে। আমি ১. মুহাম্মদ (প্রশংসিত) . আহমদ (আল্লাহর অধিক প্রশংসাকারী) . মাহি (নিশ্চিহ্নকারী, আল্লাহ তা’আলা আমার মাধ্যমে কুফরীকে নিশ্চিহ্ন করেন) . হাশির (একত্রকারী, আমার কদমে সকলকে একত্রে সমবেত করা হবে) . আকিব (আমি সর্বশেষ নবী)(বুখারী, খন্ড:১ম, পৃ: ৫০১)

সূফীয়ায়ে কেরামের বর্ণনা মতে আল্লাহ তা’আলার এক হাজার নাম রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার ও প্রায় এক হাজার নাম রয়েছে। (যুরকানী, খন্ড: ৩য়, পৃ: ১১৮), দুটি নাম অধিক প্রসিদ্ধ একটি হলো মুহাম্মদ অপরটি হলো “আহমদ” হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম “আহমদ” নামেই নবীজির শান মান ও মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, এবং সেই মহিমান্বিত রাসূলের সুসংবাদদাতা আমি, যিনি আমার পরে আগমন করবেন, তাঁর নাম আহমদ। ১৩৪. নবীজিকে নামাযের মধ্যে সালাম দেয়া ওয়াজিব, নামাযরত অবস্থায় অন্য কাউকে সালাম দিলে নামায ভঙ্গ হবে। (ফতোওয়ায়ে আলমগীরি, শামী), ১৩৫. নবীজির রওজা মুবারক আরশ হতেও উত্তম (ফাতওয়াই শামী) আল্লাহর ইচ্ছায় নবীজির বরকতময় নাম মুহাম্মদ ও আহমদ রাখা রয়েছে। (তাফসীর রুহুল বয়ান), ১৩৬. মৃত্যের পর কবরে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করা হবে। অন্য কোনো নবী রাসূল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবেনা। (তাফসীর নাঈমী) নবীজি রওজা মুবারকে দেহ মুবারক নিয়ে স্বশরীরে জীবিত। (তাবরানী শরীফ), ১৩৭. কাফিরদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার সম্পন্ন করতে প্রিয় রাসুল প্রেরিত হয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ), ১৩৮. সৈয়দুল আম্বিয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য গনীমতের সম্পদ হালাল করা হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ), ১৩৯. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর জন্য দু’ক্বিবলা, দু’ হিজরত, শরিয়ত ও তরীক্বতকে হালাল করা হয়েছে। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪০. রমজান মাসে সেহেরী ও ইফতারে বিলম্ব না করা, দোয়া কবুলের সময় সমূহ ও শবে কদর, ঈদুল আযহা ও আরাফাতে বিলম্ব না করা, শবে কদর ও আরাফাতের রোযা প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বৈশিষ্ট্যাবলীর অন্তর্ভূক্ত। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪১. প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর উপর ও তাঁর আহলে বায়াতের উপর সাদকা ও যাকাত হারাম। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪২. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর যাকাত ফরজ নয়। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪৩. প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য ইহরাম এর সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েয ছিল। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪৪. ইহরাম অবস্থায় প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবাহ জায়েয ছিল। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪৫. মক্কা শরীফে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ করা কেবল মাত্র প্রিয় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জন্য জায়েয ছিল। (খাসায়েসে কুবরা)

১৪৬. প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য অলি এবং সাক্ষ্য ছাড়াও বিবাহ করা জায়েয ছিল। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪৭. হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জন্য যুদ্ধ বস্ত্র পরিধান ছাড়া যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হওয়া জায়েয ছিল না। (খাসায়াসে কুবরা), ১৪৮. মালাকুল মাউত প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুমতিক্রমে তাঁর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন। (খাসায়েসে কুবরা), ১৪৯. প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অন্যান্য নবীদের ন্যায় জীবন ও ওফাতের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ), ১৫০. প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের সময় খায়বারের বিষ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছিল, যেন তাঁর শাহাদাতের মর্যাদা নসীব হয়। (বুখারী শরীফ), ১৫১. হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাযা নামায ইমাম বিহীন আদায় হয়েছিল। (মাদারিজুন্নাবুয়্যত), ১৫২. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ওফাতের তিনদিন পর দাফন করা হয়েছিল। (মাদারিজুন্নাবুয়্যত), ১৫৩. সরকারে দো’আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবর শরীফে চাদর বিছানো হয়েছিল। (মাদারিজুন্নাবুয়্যত), ১৫৪. হুজর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুমতিক্রমে সায়িদ্যদুনা হযরত আবু বকর ছিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে তাঁর পাশে দাফন করা হয়েছে। (তাফসীরে কবীর), ১৫৫. ছাহাবায়ে কেরাম নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারকে উছিলা অবলম্বন করতেন। (সুনানে দারমী)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র অতুলনীয় শান মান ও মর্যাদা বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম;

খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম

দোহাজারী, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: কবরে লাশ নামানোর বিধান ও কবরে লাশ রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জরুরী মাসআলা জানালে কৃতার্থ হবো।

উত্তর: দুই জন বা তিনজন শক্তিমান নেককার ব্যক্তি কবরে নেমে যাবেন এবং লাশ নামাবেন মহিলার লাশ মুহরিম ব্যক্তিই নামাবেন। মুহরিম না থাকলে আত্মীয় স্বজনরা নামাবেন। আত্মীয়দের কেউ না থাকলে মুত্তাকী নেককার ব্যক্তিবর্গ মহিলার লাশ কবরে নামাবেন। (আলমগীরি, খন্ড: ১ম, পৃ: ১৬৬)। মৃত ব্যক্তিকে কবরে ডান কাঁতে রেখে মুখ কিবলামুখী রাখবেন। কাফনের বাঁধনগুলো খুলে দিবেন তবে না খুললেও কোন অসুবিধা নেই। (আলমগীরি, ১ম খন্ড, ১৬৬)। কবর মাটি থেকে এক বিঘত উঁচু বা সামান্য উঁচু করবেন। (রদ্দুল মুখতার, খন্ড:৩য়, পৃ: ১৬৯)। দাফন শেষে কবরের মাটি’র উপর পানি ছিটিয়ে দেওয়া সুন্নাত। (ফতোওয়ায়ে রজভীয়্যাহ, খন্ড: ৯ম, পৃ: ৩৭৩)। কবরে মৃত ব্যক্তির শিয়রে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে আযান দেওয়া উপকারী। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড:৩য়, পৃ: ১৮৪)। কবরে ফুল দেওয়া উত্তম এতে মৃত ব্যক্তির উপকার হয় যতদিন ফুল তাজা থাকবে তা তাসবীহ পাঠ করবে এতে মৃত ব্যক্তির রুহ শান্তি পাবে। (ফাতওয়ায়ে রজভীয়্যাহ, খন্ড: ৫ম, পৃ: ৩৭০)। কাফনে দাফনে বিলম্ব করা সুন্নত পরিপন্থি, জানাযায় লোক সমাগম বেশি হওয়ার আশায় কাফন, জানাযা ও দাফন কার্যক্রম বিলম্ব করা সুন্নাত পরিপন্থি কাজ। (বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘দেশে দেশে ভ্রমণ শেষে’: ষোলকলায় পূর্ণ একটি ভ্রমণসম্ভার
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময়