আমি বা আমরা কোনো কিছু করতে পারবো বা করে দেখাবো এটাই হলো ‘আত্মবিশ্বাস’। এইআত্মবিশ্বাসটা মনে ধারণ করতে পারি না বলেই আমরা অনেক কাজ করতে পারি না বা শুরু করেও শেষ করতে পারি না। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি অনেক পারগ শিক্ষার্থীও শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাসের অভাবে শ্রেণিকক্ষে কোনো কিছু উপস্থাপন বা উত্তর দিতে সংকোচ প্রকাশ করে। ‘আমি ও পারবো’ এই আত্মবিশ্বাসের অভাবের ফলে এই জড়তা কাজ করে। আবার দেখলাম, অনেক সাধারণ ছাত্র ছাত্রীকে দেখেছি তুখোড় মেধাবী শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেছে শুধুমাত্র মনের দৃঢ়তা ও প্রবল আত্মবিশ্বাস দ্বারা। আবার বড়দের ক্ষেত্রেও দেখি আত্মবিশ্বাসের অভাবে অনেকে কোনো সুউচ্চ কর্মপরিকল্পনা শুরু করতে বা বাস্তবায়ন করতে পারে না। ‘আমাকে দিয়ে হবে না’ বা ‘আমি পারবো না’ এই ধরনের হীনম্মন্যতায় না ভোগে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস ও চেষ্টায় এগিয়ে যেতে হবে। একজন মানুষ কখনো সর্বগুণে গুণান্বিত হয় না। যে যে কাজে পারদর্শী তাকে সে ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করে যেতে হবে। যেকোনো কাজের শুরুতে অনেক বাধা–বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। আত্মবিশ্বাসের সাথে কোনো কাজে দীর্ঘদিন লেগে থাকলেই সফলতা আসে। ছোটবেলা থেকেই মা–বাবা ও অভিভাবকদের উচিত শিশুদের যেকোনো ভালো কাজ বা সাফল্যের প্রশংসা করা। এতে সে আস্তে আস্তে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে বড় হয়ে উঠে। নিজের মধ্যে ভালো মন্দের বোধ জাগে। পরবর্তীতে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে জীবনে সাফল্যের ছোঁয়া পায়। তাই বলতে পারি, ‘আত্মবিশ্বাস’ সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।