প্রিয় মাতৃভূমির আর্ত সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটা উন্নত যুগপোযুগী প্রজন্ম তৈরি করা সময়ের দাবী। কারণ একটা দেশ তখনই উন্নত যখন সে দেশের সুশিক্ষার হার শতভাগ। তাই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়া উচিত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা।
প্রাথমিকে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে মেধা যাচাই করে ভদ্রতা, নম্রতা, শিষ্টাচার, দেশপ্রেম, পরোপকারিতা ও ন্যায় পরায়ণতা শেখানো উচিত। এতে করে একজন শিশুর যে মানসিক বিকাশ ঘটে তা তার ভবিষ্যত জীবন গড়তে প্রভূত সহায়ক হবে। সে হয়ে উঠবে একজন বন্ধুবৎসল দেশপ্রেমিক সুনাগরিক। প্রাথমিক স্তরে যদি একজন শিশুকে সঠিক জ্ঞান দান করা যায় তাহলে সে উন্নত চরিত্রের মানুষ হবেই। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনি পরিবার বা অভিভাবকের ভূমিকাও অনস্বীকার্য।
শিক্ষকের যে ভূমিকা তা এমন হতে পারে–শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক একজন বন্ধুসুলভ আচরণে পাঠদান করতে পারেন। এতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক সহজ সুন্দর সম্পর্ক রচিত হয়। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বিষয় থেকে শুরু করে যে কোনো সমস্যা অত্যন্ত সাবলীলভাবে শিক্ষকের সাথে শেয়ার করতে পারে। এতে অনেক সমস্যার দ্রুত সমাধানের পথ সুগম হয়।
একজন শিক্ষক হিসাবে যদি বলি, প্রতিটা শিশুই ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে। সেক্ষেত্রে শিক্ষককে সবসময় ন্যায় ও আদর্শ বিচারকের ভূমিকা পালন করতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রতিটা শিশুকে নিজ সন্তানের মত যত্ন নিয়ে পাঠদান করতে হবে। একটা বিষয় সুনির্দিষ্ট ভাবে শিশুকে একাধিকবার বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষককে অবশ্যই আগ্রহী থাকতে হবে। শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, নির্ভুল উচ্চারণ ইত্যাদি বিষয় শিশুদের হাতে কলমে শিখিয়ে দিতে হবে। একজন শিক্ষক ক্লাসের প্রতিটা শিক্ষার্থীকে নিজের মানসপটে ধারণ করার মানসিকতা রাখা উচিত। তাতে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের উপর নজর রাখা সহজ হয়ে যায়। কোনো শিক্ষার্থী দীর্ঘসময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে তার খোঁজ নেয়া বা প্রয়োজনে বাসা/বাড়িতে সশরীরে গিয়ে খবর নিতে হবে। সর্বোপরি, যেহেতু সারাদিনের উল্লেখযোগ্য সময়গুলো শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে কাটায় তাই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দিক, পরিবেশ, নিরাপত্তা, তাদের সাথে সুন্দর আচরণ এসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।