সন্দ্বীপ কলোনিতে বর্জ্যাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বদলানোর দাবি

অন্যথা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি স্থানীয়দের

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ল্যান্ডফিল (বর্জ্যাগার) নির্মাণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখান থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যত্র এ ল্যান্ডফিল সরিয়ে না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল বুধবার বিকেলে ফতেয়াবাদ সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। স্থানীয় নাগরিক সমাজ এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিরোধী কেউ নয়। কিন্তু যে উন্নয়ন মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সুবিধা করে বেশির ভাগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর তার বিরোধী তারা। প্রধানমন্ত্রীও মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো উন্নয়নে বিশ্বাসী নন।

তারা বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সন্দ্বীপ কলোনির উত্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউট, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সেনানিবাস। এখানে বর্জ্যাগার স্থাপন হলে এলাকার পরিবেশ দূষিত হবে। পাশাপাশি পুরো চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্য শহরের এক প্রান্তে দক্ষিণ পাহাড়তলীতে পরিবহনের সময় সড়কে অস্বস্তিতে থাকবে যাত্রীরা। বেশির ভাগ সময়েই খোলা ট্রাকে করে বর্জ্য পরিবহন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল বর্জ্যও থাকে। জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে বর্জ্যগুলো পরিবহন করতে হবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং সেনানিবাসে থাকা ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলী আরশাদ চৌধুরী, দক্ষিণ পাহাড়তলী বসতভিটা রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, গাজী ইউসুফ, মো. নজরুল, আবদুল ওয়াজেদ, নাজিম উদ্দিন, গাজী তৈয়ব ও গাজী আক্কাস।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণ পাহাড়তলীর সন্দ্বীপ কলোনিতে বর্জ্যাগার স্থাপনের জন্য গত মাসে পাঁচ একর ভূমি ক্রয় করে। ক্রয় করা হবে আরও ৪৫ একর। নগরের ৪১ ওয়ার্ডে দৈনিক ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন মেডিকেল বর্জ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে কানুনগোকে মারধরের অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধঅন্ধকারে ডুবে গেছে গাজা