পরিষ্কার আকাশে তারা দেখার নেশায় –
সপ্তর্ষি, অরুন্ধতী, স্বাতী, কৃত্তিকা কিংবা আর্দ্রাকে
খুঁজে বেড়াই স্মৃতির বাক্স তোলপাড় করে।
শহুরে বাতাসেও খুঁজে বেড়াই সোনালী ধান কাটা,
আর মাড়াই দেখে দেখে আল ভাঙার পথ মাড়িয়ে,
সোনাঝরা জমির বুক চিরে, কৈশোরের দুরন্তপনায়
বন্ধুর সাথে স্কুলে আসা–যাওয়ার কোনও ছবি।
আমার সেই হেমন্ত এখন তারা
খসার খাতায় নাম লিখেছে!
হৈমন্তী হাওয়ার পরশে কিছুটা সময়ের
জন্য ফিরে যাই
হিমের পেলব অবগাহনের প্রথম পাঠে;
যা জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা।
শরতের কাশ ম্রিয়মান হতে হতে,
হেমন্তের নিশির শিশিরে সিক্ত শিউলি
ভোরের আলোয় শুভ্রতা আর
সতেজতার প্রতীক।
আমার সেই হেমন্ত ভোরের কোনও শিউলিতলার কাব্য বুনেছে!
এখনও হেমন্ত খুঁজে ফিরি সোশ্যাল মিডিয়ার
শিউলিভরা থালার ছবিতে;
মায়াময় ঘ্রাণ স্মৃতির অলিগলি পেড়িয়ে
মস্তিষ্কে অনুরণন তোলে।
তখন রবির হৈমন্তীর জন্য
সঙ্গীর আকুল হৃদয়ের মতো চঞ্চল হয়ে ভাবি,
‘আমি পাইলাম, ইহাকে পাইলাম।’
হেমন্ত আসে সংগোপনে,
হেমের শোভা ছড়িয়ে প্রাণে!