উখিয়ায় একই ক্যাম্পের দুই রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার ভোরে পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার সদস্য বলে জানা গেছে। অপরদিকে টেকনাফের একটি ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন আরকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন।
জানা যায়, গতকাল ভোর ৪টার সময় উখিয়ার কুতুপালং–২ ইস্ট ক্যাম্পের ৭ নং ব্লকে সানাউল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নিহত সানাউল্লাহ (২৭) ক্যাম্প ৭ এর বি/২ ব্লকের মৃত মীর আহাম্মদের ছেলে। এছাড়া, রোববার দিবাগত রাত ৩টার সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প–৫ এর এ/৪ ব্লকের আলী জোহরের চায়ের দোকানের সামনে আহম্মদ হোসেন নামে আরেক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত আহম্মদ হোসেন (৩৬) ক্যাম্প–৭ এর এ/৩৮ ব্লকের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী তিনি জানান, কুতুপালং ২ ইস্ট ও ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক দুটো খুনের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার সদস্য বলে জানা গেছে। দুইজনের হত্যার ঘটনা প্রায় একই ধরনের। ওসি জানান, নিহত সানাউল্লাহ কুতুপালং ক্যাম্পের আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি ক্যাম্প–২ ইস্টে আবুল কালাম মাঝি হত্যা, তাহের মাঝি হত্যা, আমিন মাঝি হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এছাড়াও নিহত সানাউল্লাহ এবিপিএন সদস্য মো. সাঈদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সাথে জড়িত। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে গতকাল ভোরে টেকনাফের উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালিয়ে তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে অস্ত্র–গুলিসহ আটক করেছে এপিবিএন সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন ক্যাম্পের সি/৫ ব্লকের ৭৫০ নং ঘরের মনির আহমেদের ছেলে কামাল হোসেন (২৭), সি/২ ব্লকের ৩৪০ নং ঘরের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে অজিউর রহমান (১৮) এবং বি/০৪ ব্লকের তাজিমুল্লার ছেলে মুজিবুর (১৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। কঙবাজারের টেকনাফ ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী নূর সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটকরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংগঠন আরএসও’র সক্রিয় সদস্য। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।