রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ কর্মী খুন

মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলি, পিটুনি

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হয়েছেন যুবলীগের কর্মী মনজুর হোসেন প্রকাশ টাক্কুইল্ল্যা (৩৫)। গতকাল রোববার বিকালের দিকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শান্তিনিকেতন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা তার পায়ে দুটি গুলি করে এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। গুলিবিদ্ধের প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত মনজুর হোসেন টাক্কুইল্ল্যা উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ফোরক আহমেদ বাড়ির মৃত গুন্নু মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকালের দিকে রাঙ্গুনিয়া পৌর এলাকার শান্তিনিকেতন এলাকায় মনজুর ও তার বন্ধু সেকান্দর আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত গুলি চালায় তাদের উপর। দুটি গুলিবিদ্ধ হয় মনজুরের হাঁটুর নিচে পায়ে। এ সময় লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। সঙ্গে থাকা সেকান্দর কোনোরকমে পালিয়ে যান। ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মনজুর ও সেকান্দরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনজুরকে মৃত ঘোষণা করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন।

রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল্লাহ বলেন, কারা কী কারণে মনজুরকে গুলি করে খুন করেছে জানি না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ বলেন, মনজুর যুবলীগের কর্মী। তাকে হাসপাতালে দেখতে গেছি। কী কারণে খুন হলো তা বলা যাচ্ছে না। তবে যারাই এই ঘটনা করুক, তাদের যেন চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়।

রাঙ্গুনিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, মনজুরের দুই পায়ে গুলির আঘাত রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে খুনের কারণ বলা যাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মনজুরের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। বালি মহাল, মাদকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বছরখানেক আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল একটা গ্রুপ। অবশেষে তিনি খুন হলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ-আমানতে নতুন সুদহার
পরবর্তী নিবন্ধ১২ নভেম্বর কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন