নগরীর খুলশীর চিত্রভাষা গ্যালারিতে শিল্পী–আলোকচিত্রী মইনুল আলমের ছবি বই ‘মাংসি’ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এক আড্ডা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২৩২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে স্থান পেয়েছে ২১০টি দুর্লভ আলোকচিত্র। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহ, লেখক–গবেষক পাভেল পার্থ এবং লেখক ইয়াংঙান ম্রো। জানা যায়, যেকোনো উৎসবের আগে ম্রো সমাজের ছেলেমেয়েরা কাপড়ে রাংসি (লাল রং) ও মাংসি (সবুজ রং) লাগায়। মইনুল আলম এই ম্রো শব্দ মাংসিকেই ধার করেছেন তার বইয়ের নাম হিসাবে। ‘মাংসি’তে প্রায় তিন যুগ আগেকার ম্রোাদের জীবনযাপন ও বান্দরবানের নিসর্গ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। ম্রোদের নিত্যদিনের জীবনচর্যা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক–পরিচ্ছদ, সাজগোজ, দূরের পথে দল বেঁধে পায়ে হেঁটে বা নৌকায় হাটে যাওয়া, মাতামুহুরী নদী তীরে সামান্য ভাতমাছ রান্না করে খাওয়া–দাওয়া, ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি, উৎসব–নানা শ্রেণি ও বিষয়ের ছবি ধারাবাহিকভাবে পরিস্ফুট হয়েছে বইটির পাতায় পাতায়। ‘মাংসি’ বইটির ছবি ও পেছনের গল্পকে ভিত্তি করে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ইয়াংঙান ম্রো বলেন, মইনুল আলমের বই ‘মাংসি’র মাধ্যমে আমি আমার শৈশবে ফিরে যাই। ‘মাংসি’ বইটির মাধ্যমে ম্রো ছেলে–মেয়েরা তাদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে আদি–তথ্য পাবেন যা হয়তো তারা জানতেনই না। বইতে এমন সব গল্প আছে যা এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেদের ভাষা পড়ার–জানার যে গুরুত্ব তা হয়তো এখন ম্রো–রা বুঝতে পারবে।