গতকাল থেকে ভারতে শুরু হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। আর এই বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে সাকিব আল হাসানের। আর সে কারণে এবারের বিশ্বকাপটা হতে পারে সাকিবের জন্য স্পেশাল। কারণ এবারের আসরে সাকিবের সামনে রয়েছে এমন কিছু মাইলফলক, যা তাকে একজন কিংবদন্তিতে পরিণত করে দিতে পারে। যেমন ব্যাট হাতে আর ৭৯ রান করতে পারলে বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেবেন সাকিব। এছাড়া শীর্ষ ১০ বোলারের ক্লাবে প্রবেশ করতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের প্রয়োজন আর মাত্র ৬টি উইকেট।
শুধু তাই নয় এবারের বিশ্বকাপে সাকিবের প্রবেশ ঘটেছে রাজার বেশে। যেখানে তিনি বাবর আজম, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন, জো রুট, জস বাটলারদের মত ব্যাটারদেরকে ছাড়িয়ে নিজের মাথায় পরে রেখেছেন রাজার মুকুট। ভারত বিশ্বকাপে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসানের রান এখন সবচেয়ে বেশি। ২০০৭ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মোট ৪টি আসরে ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। রান করেছেন ১১৪৬। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ১২৪ রানের। গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি সেরা ইনিংসটি উপহার দেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিব আল হাসানের অবস্থান ৯ম স্থানে। তবে তালিকায় সাকিবের আগে নাম লেখানো ৮ ব্যাটারের কেউই নেই এবারের বিশ্বকাপে। যে কারণে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে পা রাখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকায় রয়েছেন ভারতের শচিন টেন্ডুলকার, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, শ্রীলঙ্কার কুমারা সাঙ্গাকারা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল, শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সুরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস। এদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে খেলছেন না। ফলে সাকিব এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান নিয়ে খেলতে নামবেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের পর রয়েছে ভারতীয় ব্যাটার বিরাট কোহলি। তিনি ২৬ ম্যাচ খেলে ১০৩০ রান করেছেন। তার সেরা ইনিংস ১০৭ রানের। ভারত বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান নিয়ে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপের আসরে ১৮টি ম্যাচ খেলে তিনি ৯৯২ রান করেছেন। তার পরে রয়েছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। তার ঝুলিতে রয়েছে ৯৭৮ রান। এই রান করতে ভারতীয় অধিনায়ককে খেলতে হয়েছে ১৭টি ইনিংস। রোহিতের পেছনে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। ২২টি ইনিংস খেলে ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ৯১১ রান। পাকিস্তানের বাবর আজম র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে এবার বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এর আগে খেলেছেন কেবল ২০১৯ বিশ্বকাপ। ৮ ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ৪৭৪ রান। গড় ৬৭.৭১। সেঞ্চুরি করেছেন ১টি। ১০১ রান অপরাজিত। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি। তাই সেরাদের মিছিলে সাকিবই এবারের বিশ্বকাপে সবার সেরা হিসেবে মাঠে নামবেন। আর বিশ্বকাপ শেষে হয়তো নিজেকে নিয়ে যাবেন অনেক উচ্চতায়। গত আসরের মত দুর্দান্ত কাটলেতো আর কথাই নেই। এখন দেখার বিষয় এবারের বিশ্বকাপে সাকিব কতটা উপরে নিয়ে যেতে পারেন নিজেকে।