চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা চাকতাই খালের ঘাট, আসাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, মিয়া খাঁন এলাকা, চকবাজার এলাকা, ব্যবসা–বাণিজ্য নির্ভর এসব এলাকাগুলো থেকে স্থল পথ এবং নৌপথের মাধ্যমে সারা চট্টগ্রামে পণ্য আনা নেওয়া করা হয়, নৌপথের একমাত্র পথ হচ্ছে চাকতাই খাল, চাকতাই খালের দূর অবস্থা সর্বজন স্বীকৃত, এই কথা না–ই বা বললাম। চাকতাই খালের থেকে মালামাল উঠানামা জন্য কিছুদূর অন্তর অন্তর একটা একটা ঘাট সেই ব্রিটিশ আমল থেকে প্রতিষ্ঠিত ছিল, যুগ যুগান্তর ধরে বিদ্যমান ছিল, কালের বিবর্তনে মানুষের দখলে চলে গেছে, চাকতাই খালের ঘাটগুলো সিটি কর্পোরেশনের, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বাৎসরিক খাজনা আদায় করে আসছে, দুঃখজনক হলেও সত্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর স্টেট অফিসাররা কোনো কালে ঘাটগুলো পরিদর্শনে আসেননি, ঘাটগুলোর কী অবস্থান, আকার, আদৌ কি অস্তিত্ব আছে, দেখভাল করার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। বাস্তব সত্য হলো চাকতাই মোহনা থেকে চকবাজার পর্যন্ত খালের দুই পাড়ের ঘাটগুলো বেদখল হয়ে গেছে, শুধু দখল নয় বহুতল ভবনও নির্মিত হয়েছে। অপ্রিয় সত্য কথা হলো ময়লা আবর্জনা ফেলে চাকতাই খাল যারাই ভরাট করছে, তারা এইসব ঘাটগুলো দখল করছে। দেখে মনে হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ঘাটগুলো দখলমুক্ত করা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। সচেতন মহলের জোরালো দাবি অবিলম্বে চাকতাই খালের ঘাটগুলো উদ্ধার, ময়লা আবর্জনা ফেলে যারা খাল ভরাট করছে জেল জরিমানা বিধান রেখে আইন পাস করার জন্য, সচেতন মহলের বলিষ্ঠ দাবি। চাকতাই খাল বাঁচলে বঙ্গোপসাগর বাঁচবে, বঙ্গোপসাগর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে খালের ঘাটগুলো পুনরুদ্ধার, স্থাপনা উচ্ছেদ, চাকতাই খাল দখলমুক্ত করে, বর্ষাকালীন জলাবদ্ধতা দূরীকরণের কার্যকার পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবী।