বাজারে আড়তদাররা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পক্ষ থেকে ডিম, আলু ও পিঁয়াজের নির্ধারিত মূল্য মানতে নারাজ।
পাইকারী পর্যায়ে দাম বেশি থাকায় খুচরা পর্যায়েও ডিম, আলু ও পিঁয়াজের দাম কমছে না বরং যে যেভাবে পারছে ইচ্ছেমত সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটছে। বর্তমানে ডিমের হালি ৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিপিচ ডিমের মূল্য ১৩ টাকা কিন্তু ভোক্তা অধিকারের নির্ধারিত মূল্য ১১.৬৬ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিন্তু ভোক্তা অধিকারের নির্ধারিত মূল্য ৩৫ টাকা এবং পিঁয়াজের মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিন্তু ভোক্তা অধিকারের নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের তদারকিও দমাতে পারছে না নিত্যপণ্যের এই পাগলা ঘোড়াকে। এই দিকে শাকসবজির বাজারেও আগুন। ৭০ থেকে ৮০ টাকার নীচে কোনও সবজি নেই। সবকিছু মিলে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে দুর্ভোগে আছেন। উৎপাদন ও সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও কী কারণে দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতি এবং কেনইবা ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পকেট কাটছে সেই ব্যাপারে সরকার ও দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সঠিক তদারকির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যকে নিয়ন্ত্রণে আনতে যেন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করে সেই জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
আবদুর রহিম
মতিয়ারপোল,
কমার্স কলেজ রোড়।